১৩ মামলার আসামি বিপুল চাকমাসহ তিন নেতার মুক্তির দাবীতে খাগড়াছড়িতে অবরোধের ডাক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ আটক তিন নেতার মুক্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডেকেছে ইউনাইডেট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
বুধবার সন্ধ্যায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা প্রেরিত এক ইমেলে বার্তায় এ অবরোধের ডাক দেয়া হয়।
ইমেইল বার্তায় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমার মুক্তির দাবীতে বুধবার বিকালে ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়িস্থ কার্যালয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করে। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিনয়ন চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক অনিল চাকমাকে আটক করে নিয়ে যায়।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিপুল চাকমাসহ আটক নেতাদের মুক্তি ও পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত ১১ দফা নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবীতে চার দিনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ৩ নভেম্বর কর্মসূচীর সপক্ষে গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান, ৯ নভেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে সংহতি সমাবেশ, ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামে সংহতি সমাবেশ ও ১২ নভেম্বর রাঙ্গামাটিতে সংহতি সমাবেশ।
এদিকে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো: আব্দুল হান্নান দুই নেতাকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের সে সব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে পুলিশ পানছড়ি উপজেলার লোগাং সড়কের মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি মাইক্রেবাস তল্লাসী করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক বিপুল চাকমাকে আটক করা হয়।
খাগড়াছড়ি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: রইছ উদ্দিন জানান, বিপুল চাকমার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাগামী গাড়ী বহরে হামলা, বিস্ফোরক দ্রব্য, পুলিশের গাড়ী ভাংচুর ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ ১৩ মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ১১টি ও পানছড়ি থানায় দুটি। বিপুল চাকমাকে পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে খুঁজছিল বলেও জানান তিনি।