তথাকথিত পার্বত্য শান্তিচুক্তি নামে অসাংবিধানিক কালোচুক্তি বাতিলের দাবি: পার্বত্য নাগরিক পরিষদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

শনিবার(২রা ডিসেম্বর)  সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যৌথ উদ্যোগে পার্বত্য শান্তি চুক্তি (কাল চুক্তি) বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাহাদাত ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, শান্তির জন্য করা  চুক্তির কারণে অশান্তি আরো বেড়েছে, আগে চাঁদা দিতে হতো একটি সংগঠনকে এখন দিতে হয় তিনটি সংগঠনকে, অনির্বাচিত জেলা পরিষদ লুটপাটের আখরায় পরিনত হয়েছে, তাই এটা ভেঙ্গে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে তথাকথিত শান্তি চুক্তি (১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির  নামে অসাংবিধানিক পার্বত্য কালোচুক্তি করা হয়েছে) বাতিল করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈষম্য মূলক উপজাতীয় কোটা বাতিল করে পার্বত্য কোটা চালূ করতে হবে। আঞ্চলিক পরিষদসহ সকল জেলা পরিষদে শীঘ্রই নির্বাচন দিতে হবে।

জাতীয় সংসদে সংশোধিত পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধনী) আইন-২০১৬ ইং বাতিল করতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের সমঅধিকার বা সাংবিধানিক অধিকার  নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পূর্নঃস্থাপন করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের র‌্যাব এবং সেনাবাহিনী দিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সন্ত্রাসের গডফাদার জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তুলারমা গং কর্তৃক লালিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ভিতর পার্টির  (জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসএস সংস্কার) কর্তৃক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

প্রধান অতিথি গত কাল প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্যের ও প্রতিবাদ করে বলেন, যে বক্তব্য সন্তু বাবু ৩৬ বৎসর যাবত করে আসছে, প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্য একই বক্তব্য হয়ে গেল। একজন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতার দাবির সত্যায়ন করলেন  প্রধানমন্ত্রী। এ বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না, এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের  দপ্তর সম্পাদক  মো. খলিলুর রহমান এর প্রেরিত এক ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়। আজকের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন  নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এড. এয়াকুব আলী চৌধুরী ,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল নবী শাওন,  নাগরিক পরিষদের সংস্কৃতিক সম্পাদক কবি ফাতেমা খাতুন রুনা, পিবিসিপির পেনেল সভাপতি ইব্রাহিম, সিনিয়র সহ সভাপতি সারোয়ার জাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাত ফরাজি সাকিব প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা  সন্তু লারমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে, সাম্প্রতিক সন্তু লারমা পার্বত্য জেলাকে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে অচল করে দেওয়ার কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

প্রধান অতিথি,  আরোও বলেন যে উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিনিধি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জনসংহতি সমিতির সভাপতির স্বাক্ষরিত তথাকথিত শান্তি চুক্তি নামে আদালত কর্তৃক ঘোষিত অসাংবিধানিক কালোচুক্তি করা হয়েছিল তা এক পক্ষীয় ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

তিনি আরোও বলেন, সন্তু লারমা একজন রাষ্ট্রদ্রোহী, যুদ্ধাপরাধী, সন্ত্রাসী ও ত্রিশ হাজার নিরস্ত্র বাঙ্গালী হত্যার নির্দেশ দাতা। অবিলম্বে সন্তু লারমাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন