ড. মিজানুর রহমানকে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে অবঞ্চিত ঘোষণা করলো বাঙালী সংগঠনগুলো

ড. মিজানুর রহমান

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একটি সেমিনারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড: মিজানুর রহমান পাবর্ত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের তুলে নেওয়ার জন্য যে দাবী জানিয়েছেন এবং সংবিধানবিরোধী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান- ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল-মামুন ভুঁইয়া, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক শেখ আহমেদ রাজু, পার্বত্য গণপরিষদের মহাসচিব কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী।

নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ড: মিজানের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল এবং রাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হলে, তিন পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে টিকে থাকা নিয়ে হুমকির সৃষ্টি হবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী বাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করে বক্তব্য দেওয়া দেশদ্রোহীতার সামিল।

নেতৃবৃন্দ ড: মিজানকে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনি জানেন কি- সন্তুলারমাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য আইনত বাধা নেই কিন্তু রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এডভোকেট পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদের (যা মন্ত্রী মর্যাদা সম্পন্ন) চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আইনত বাধা রয়েছে এবং তিনি সেখানে এক ছটাক জমিও কিনতে পারবেন না সন্তু লারমার অনুমতি ছাড়া। এই আইনটিও ড: মিজানের মত দেশদ্রোহীরাই তৈরি করেছেন’।

তারা আরো বলেন, ‘ড. মিজান সাহেব আপনি কী চান, তিন পার্বত্য জেলা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক ? তা না হলে আপনি দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীদের পক্ষে কেন উস্কানী দিচ্ছেন ? কেন সেনা প্রত্যাহারের কথা বলছেন ? কেন তিন পার্বত্য জেলা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালীদেরকে তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন ? কেন উপজাতিদেরকে জোরপূর্বক আদিবাসী বানাচ্ছেন’?

নেতৃবৃন্দ ড. মিজানকে তিন পার্বত্য জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং অবিলম্বে তাকে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে বহিষ্কার করে রাষ্ট্রদ্রোহীতার দায়ে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষকে নিয়ে কঠিন আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন