ডাকাতের আস্তানায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৬, অস্ত্র-রাম দা উদ্ধার

অভিযান

বাইশারী প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মগবিলের পাহাড়িরাজা শাহীন বাহিনীর গহীন পাহাড়ের ২ টি আস্তানায়  অভিযান  চালিয়ে অস্ত্র-রাম দা সহ ৬ ডাকাতকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। রামুর গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশের আইসি উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ডিবি পুলিশ সহ কক্সবাজার ও বান্দরবানের ২০ চৌকস পুলিশ সদস্য অংশ নেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার ভোর রাত ৩ টায় অভিযান চালানো শুরু করে তাদের দল। নৌকা যোগে তারা গর্জনিয়া বাজার থেকে গর্জনিয়ার কুখ্যাত  শাহিনুর রহমান ওরফে শাহিন্যা’র আস্তানার দিকে রওয়ানা দেন ২০ সদস্যের দলটি। কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মগবিল নামক এলাকায় গিয়ে এ ডাকাত সাম্রাজ্যের প্রথম আস্তানায় তারা হানা দেন ভোর ৪ টায়। বাহিনী প্রধান শাহিন্যা  ডাকাত তখন সেখানে পায়চারী করছিল এবং তার সদস্যদের পাহারা দিচ্ছিল নিবিড়ভাবে।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহিন্যা ডাকাত পালিয়ে গেলেও তার বাহিনীর থার্ড-ইন-কমান্ড সহ দু’জন কে আটক করে তারা। আটককৃতদের জবানবিন্দি’র প্রেক্ষিতে পুলিশ দলটি অপর আস্তানায় হানা দেয় একই দিন শেষ রাতে। আস্তানাটি ছিল স্থানীয় মাঝির কাটার মৃত মৌলানা নূর আহমদের খামার বাড়ি। এখান থেকে পুলিশ অপর  ৪  ডাকাতকে আটক করে পুলিশ দল।

আটককৃতরা হলো, শাহিন বাহিনীর মামা ও সেকেন্ড-ইন-কমান্ড লুৎফর রহমান (২২)। সে  খামারের মালিক মৌলানা নুর আহমদের ছেলে। থার্ড-ইন-কমান্ড মহিউদ্দিন (২৫) পিতা: বাবুল মিয়া। তার  বাড়ি ঘিলাতলী। সে স্থানীয় কবির সওদাগরের ভাগিনা। মঞ্জুর আলম( ২৫) পিতা: মেহের আলী তার বাড়ি মাঝির কাটা। সুজন (২০) সে ইউনিয়নের তুলাতলী মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। ৫ম জন হলো ইব্রাহিম খলিল (২১) সে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের চিকনছড়ি আরিফুল ইসলামের ছেলে। সর্বশেষ জন  হলো: আলম ওরফে আজাদ পিতা রমজান আলী সে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের রমজান আলীর পুত্র।  পুলিশ আরো জানায়,  অভিযানে ১ টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২ টি রাম দা ও ২ দেশীয় দা উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে এলাকাবাসী জানান, অভিযান  আঁচ করতে পেরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আরো ১০-১২জন ডাকাত পালিয়ে যায় বলে তারা জানতে পারেন।  এ এলাকায় ৪০ ডাকাত ও কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা আসা যাওয়া করে নিয়মিত। যাদের বাড়ি টেকনাফ, উখিয়া, চকরিয়া, ঈদগাও, ঈদগড় ও মহেশখালী সহ অন্যান্য এলাকায়। যে  এলাকায় সহজে আইন শৃংখলা বাহিনী পর্যন্ত যেতে ভয় পায়।

এদিকে পুলিশ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতীর প্রস্তুতির অভিযোগে পৃথক ২ মামলা হচ্ছে এ সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত। অভিযানে অংশ নেন, কক্সবাজারের রামু থানার পুলিশ ছাড়াও বান্দরবানের ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানা এএসআই বিষ্ণু কুমার রায় ও   গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এটি এসআই মো: ইমরান হোসেন সহ বেশ কয়েক পুলিশ কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন