টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়লেন ভারতীয় নারী নাসরিন

টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ সাগরপথ (বাংলা চ্যানেল) ১৬.১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়লের ভারতীয় নারী সাঁতারু তাহরিনা নাসরিন।

এভারেস্ট একাডেমির আয়োজনে ২৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ জেটি থেকে যাত্রা শুরু করে একটানা সাঁতরে ৩ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সেন্টমাটিন পৌঁছান।

তাহমিনা নাসরিন কলকাতার হাওড়া জেলার শেখ আফসার আহমেদ এর মেয়ে। তার সাথে তার বাবাও ছিলেন।

জানা গেছে, বাংলা চ্যানেল সাঁতারে এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ছিলো সাইফুল ইসলাম রাসেলের ৩ ঘন্টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড। মেয়েদের মধ্যে নতুন রেকর্ড করলেন তাহরিনা। এর আগে মেয়েদের রেকর্ডটি ছিলো ভারতের রিু কেডিয়া’র, তিনি বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় নিয়েছিলেন ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট।

সাঁতার শেষে তাহরিনা জানান, প্রথম ভারতীয় বাঙালি নারী সাঁতারু হিসাবে বাংলা চ্যনেলে এই রেকর্ড গড়তে পেরে উচ্ছাস ব্যক্ত করেন এবং এই বাংলা চ্যানেল ডাবল ক্রস করার ইচ্ছাও রয়েছে তার।

এ প্রসঙ্গে তার বাবা শেখ আফসার আহমেদ বলেন, আমার মেয়ে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, জেলিফিশ ও অন্যান্য প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলা চ্যানেল সাতার সম্পন্ন করেছেন। তার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকুরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং আমার মেয়ে তাহমিনা প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে গত ২০১৫ সালেও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিল।

এবারের সাঁতারে পরিচালনাকারী দলের সাথে ছিলেন- হেলদি হোম এর ডা. মহসীন কবির লিমন, লাইফগার্ড হিসেবে ছিলেন-সিআইপিআরবি’র সি-সেইফ সুইমিং প্রোগ্রামের লাইফগার্ড কামাল হোসেন, সাঁতারটিতে রেফারি ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু এবং নেভিগেটর ছিলেন রাফাহ্ উদ্দিন সিরাজী।

উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর তাহরিনা নাসরিন বাংলাদেশে এসেছেন এবং ২১ ও ২২ নভেম্বর সেন্টমার্টিনে অনুশীলন করেন এই ভারতীয় নারী সাঁতারু। বিগত ১৩ বছর পেরিয়েছে এই বাংলা চ্যানেল সাঁতার’। কাজী হামিদুল হকের প্রতিষ্ঠান এক্সট্রিম বাংলা’র সঙ্গে আয়োজনে আয়োজক হিসাবে যুক্ত হয়েছে এভারেস্ট একাডেমি, ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। আর প্রতিবছর এই বিজয়ে নাম লিখিয়েছেন অনেকেই। বাংলা চ্যানেল ম্যারাথন সাঁতারে ২০১২ সালে যুক্ত হয়েছিলেন নেদারল্যান্ডের সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী ভ্যান গুল মিলকো। সে বছর থেকেই বাংলা চ্যানেল সাঁতারের নাম “ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ওয়াটার লং ডিসটেন্স সুইমিং লিস্ট”ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকা আরও একবার গৌরবান্বিত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন