টেকনাফে ৬ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত: আহত শতাধিক
টেকনাফ প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে সাড়ে ৬ হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মোরা আঘাত হানার সময় নারী শিশুসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে অনেক’কেই টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, সাব্বির হাসন, মো. রফিক, মো. আরমান, সাবান হোসেন, শামসু আলম, নূর কলিমা, সাঞ্জিদা আকতার, রাজিয়া আকতার ও নূর জাহান, কামাল হোসেন, নুরু মোহাম্মদ জামাল, শিশুরা হলেন জিহান, রাখিব হোসেন বাকীদের নাম জানা যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শোভন দাস জানান, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে এবং উড়ে আসা টিনের চালের আঘাতে তারা আহত হন। আহত দু’জন আবু তাহের ও আব্দুর মালেক উন্নত চিকিৎসা জন্য কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র কোহিনুর আক্তার জানান, এমন কোন বাড়ি নেই যে ক্ষতি হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাতে আমাদের এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোরার আঘাতে দ্বীপের প্রায় ১০জন আহত হয়েছে এবং ৮শ’ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হোসেন সিদ্দিক জানান, মোরার আঘাতে টেকনাফে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আঘাতের উপজেলায় প্রায় ৩৫জন নারী- শিশু আহত হলেও এখনো নিহত খবর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, মোরা ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে টেকনাফে ও ১১৪ কিলোমিটার বেগে সেন্টমার্টিনে আঘাত করে। এছাড়া কক্সবাজারে ১১৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে।