টেকনাফে ৫ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের খাদ্য নেওয়া বর্জন
টেকনাফ প্রতিনিধি:
৫ দফা দাবিতে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য (রেশন) বর্জনসহ ধর্মঘট পালন করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার থেকে ক্যাম্পের দোকানপাট, স্কুল বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরত রোহিঙ্গারা কর্মবিরতি পালন করেছেন। ৫ দফা দাবিতে এই ক্যাম্পের রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গারা ধর্মঘট শুরু করেছেন। এছাড়া গত ১ নভেম্বর থেকে এখানকার রোহিঙ্গারা রেশন গ্রহণ করেননি।
নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের চেয়ারম্যান আব্দুল নবী জানান, গত ১ নভেম্বর থেকে ক্যাম্পের কোন রোহিঙ্গা পরিবার ত্রাণ সামগ্রী উত্তোলন করেননি। এছাড়া যারা চাকুরীতে রয়েছেন তারা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করেছেন।
আরেক রোহিঙ্গা নেতা জানান, রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মাঝে শরণার্থী আইডি কার্ড ও ত্রাণের জন্য ফুড কার্ড চালু রয়েছে। কিন্তু‘ সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডাব্লিউএফপি) ফুড কার্ড পরিবর্তন করে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মতো এসিস্ট্যান্স কার্ড চালু করেছে। যা রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গাদের জন্য অপমানজনক বলে মনে করছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা। পুরাতন ফুড কার্ড চালু রাখা, শিক্ষার কারিকুলাম তৈরিসহ ৫ দফা দাবিতে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা রেশন বর্জনসহ ধর্মঘট শুরু করেছেন। এব্যাপারে নয়াপাড়া ক্যাম্প ইনচার্জ আরিফুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে ঢাকায় রয়েছেন বলে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
তবে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জানান, নিবন্ধিত রোহিঙ্গা দীর্ঘ বছর ধরে টেকনাফ ও উখিয়ার দুটি ক্যাম্পে বসবাস করে আসছে। এরা বিভিন্ন কৌশলে একই পরিবার একাধিক ফুড কার্ড বানিয়েছে। সরকারি মনোগ্রামযুক্ত নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের দেয়া উক্ত কার্ডের নাম ছিল ‘ফুড কার্ড’। তা নিয়ে রেশনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর তা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে নতুন করে ফুড কার্ড দেয়া হচ্ছে। এর নাম ‘এ্যাসিস্ট্যান্ট ফুড কার্ড’। এতে জালিয়াতির পথ বন্ধ হয়ে যাবে। যা সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে রোহিঙ্গারা আপত্তি তুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ এসব অপকর্ম করছে।