টেকনাফে পুলিশের সাঁড়াশী অভিযান: ২৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১৯
টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে ইয়াবা বিরোধী সাঁড়াশী অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপকালে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযানের সময় টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন আহমদ ও শামশুল আলম বাবুলের স্ত্রী ছালেহা বেগম, চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী শামসুসহ বিভিন্ন মামলার গ্রেফতার পরোয়ানাভূক্ত ১৯ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোররাতে হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মৃত সোনা আলীর ছেলে ইউপি সদস্য হোসেন আহাম্মদ (৪০), তার ভাই মৌলভী আলী আহাম্মদ(৩৫), মাষ্টার আহমুদুল রহমানের ছেলে লুৎফর রহমান (২৭),পূর্ব সিকদারপাড়ার মৃত কালা মিয়ার ছেলে শামসুদ্দিন প্রকাশ শমসু(৫০), হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাছরপাড়ার মৃত সোলেমানের ছেলে নবী হোসাইন(৩৮), তার ছোট ভাই সিরাজ মিয়া(৩০), খারাংখালী এলাকার আবছার উদ্দিন(২৬), উলুবনিয়া এলাকার খাইরুল বশর(৩২), পানখালীর শামসুল আলম (৩৫), হ্নীলা ৩ নং ওয়ার্ডের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য শামশুল আলম বাবুলের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৩২)। বাকীদের নাম জানা যায়নি।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা (ওসি তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল ও উখিয়া-টেকনাফের সার্কেল চাইলাউ মারমার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নসহ কয়েকটি বিশেষ এলাকায় ইয়াবা পাচারকারীসহ চিহ্নিত অপরাধীদের ধরতে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি জানান, কক্সবাজার পুলিশের বিশেষ টিম ইয়াবা প্রতিরোধে হার্ড লাইনে নেমেছে। তারই সূত্র ধরে বুধবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে ইয়াবা ব্যবসায়ীর একটি গ্রুপ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায় এবং অভিযানে হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার ইউপি মেম্বার বাবুলের স্ত্রী সালেহা বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, হ্নীলা পানখালী এলাকার হোসন আহমদ মেম্বারের ভাই আলী আহমদের কাছ থেকে ৫ হাজার পিচ ইয়াবা ও পূর্ব সিকদার পাড়া এলাকার শামসুদ্দিনের কাছ থেকে ৩ হাজার পিচ, নবী হোসনের কাছ থেকে ২হাজার ১’শ, খাইরুল বশর থেকে ১ হাজার ৮’শ, আবসার উদ্দিনের কাছ থেকে ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আটককৃতদেরকে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. জামাল হোসাইনকে গ্রেফতার করে। তার মুক্তির দাবিতে থানায় ঘেরাও করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।