Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

টেকনাফে নাফ ট্যুরিজম পার্কয়ের কাজ এ বছরেই শুরু: বেজা চেয়ারম্যান

20160703_134910 copy

টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফের নাফ নদীর বুকে জেগে উঠা পর্যটন অঞ্চল জালিয়ারদ্বীপে নাফ ট্যুরিজম পার্কয়ের কাজ এই বছরের মধ্যে কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। রোববার টেকনাফে অর্থনৈতিক অঞ্চল সাইট সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী পর্যটন হোটেল নেটং এ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।

তিনি আরো জানান, এই বছরের মধ্যে টেকনাফের নাফনদীর বুকে জেগে উঠা জালিয়ার দ্বীপ অর্থনৈতিক অঞ্চল সাইটে টেকনাফ-কক্সবাজারের প্রধান সড়কের সংলগ্ন বন্দরের পাশ দিয়ে জালিয়ারদ্বীপ নাফ ট্যুরিজ্যাম পার্ক সাথে সংযুক্ত করতে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি সেখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে গড়ে তুলা হবে আন্তর্জাতিক মানের ক্যাবলকার, হোটেল, কটেজ, বিচ ভিলা, ওয়াটার ভিলা, সুইমিংপুল, কনভেনশন হল, বার, অডিটোরিয়াম, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ক্রাফট মার্কেট করা হবে। সরকার এই বছরেই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান।

এ সময় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সা র্বিক) আবু নাছের, টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবালসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন র্বোড এবং পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একটি সূত্রে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে কক্সবাজার সফর করেন। এ সময় তিনি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে সব সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোনের ১ হাজার ১৬৫ একর জমির সীমানা নির্ধারণ করে কাজ শুরু হয়েছে। এতে ৯১ দশমিক ৬৮ একর চাষযোগ্য জমি, ৯৩৭ দশমিক ৪৬ একর খাস জমি ও ১৩৫ দশমিক ৭১ একর সৈকত এলাকার জমি রয়েছে। এছাড়া নাফনদীর বুকে জেগে উঠা অর্থনৈতিক অঞ্চল সাইট জালিয়ার দ্বীপের ২৭১ দশমিক ৯৩ একর জমিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলা হবে। সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তৎমধ্যে টেকনাফের অর্থনৈতিক অঞ্চল জালিয়ার দ্বীপে এ বছরেই কাজ শুরু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন