টেকনাফে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত কথিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার
টেকনাফ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফে চাঁদাবাজি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ও কথিত সাংবাদিক নামধারী ফরিদুল মোস্তফা খান (৩১)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে টেকনাফ পৌরসভার টিএন্ডটি রোড ভূমি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাত ঘরিয়াপাড়ার মৃত ইসহাক খানের ছেলে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে টেকনাফে থানার মেস পরিচালনাকারি মো. মামুন হোসেনের কাছ থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বহুল প্রচারিত সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে মাসিক ৮/১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ফরিদুল মোস্তফা। তার দাবি মত চাঁদা না দিলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত করবে বলে হুমকি দেয়। এরপরও বার বার মুঠোফোনের মাধ্যমে চাঁদা দাবি করলে মেস পরিচালনাকারি মামুন হোসেন তার কথাগুলো মোবাইলে রেকর্ড করে সে নিজে বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলায় রুজু করেন। যার মামলা নং ২২ তারিখ ৯/৯/১৫ ইং। মামলাটি এসআই আরিফুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলে মোবাইলে রেকর্ড করা কথা অডিও সিডি করে পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। যার নং ৬৬ তারিখ ১৫/২/১৬ ই্ং। এরপরও আসামি ফরিদুল মোস্তফা আদালতে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা দিকে থানা পুলিশের এএসআই কাজি আবদুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পৌরসভার ভূমি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফরিদুল মোস্তফা একসময় কক্সবাজার বানীর সম্পাদক ছিলেন, সে সময় সাংসদ আবদুর রহমান বদি, শিল্পপতি আনিছুর রহমান ইয়াহিয়া, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বদিউল আলম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মানহানিকর, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছিল। সর্বশেষ দেশের সর্বোচ্চ প্রচারিত প্রথম আলোর কক্সবাজার জেলা অফিস প্রধান আবদুল কুদ্দুস রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদর প্রকাশ করলে সাংবাদিক রানা তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানিকর মামলা দায়ের করে। সে মামলায় বিজ্ঞ আদালত ফরিদুল মোস্তফাকে ৬ মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। পরবর্তীতে সে জজ আদালত থেকে আপিলে জামিনে বেরিয়ে আসে। ঐ মামলাটি এখনো বিচারধীন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ জানান, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার একটি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।