জোয়ারের পানিতে ফের প্লাবিত মগনামা ইউনিয়ন

Pekua Pic 04-06-16 (2)

পেকুয়া প্রতিনিধি :
জোয়ারের পানিতে পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়ন ফের প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সাগরের জোয়ারের পানিতে উপকুলবর্তী এই ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ড় তলিয়ে গেছে। পাউবোর বিলিন হওয়া বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেলের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে করে উক্ত ইউনিয়নে উত্তর অংশের দু’টি ওয়ার্ড়ের ১৫টি গ্রাম এখন পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে থাকায় এসব এলাকার যাতায়ত বন্ধ রয়েছে। পানিবন্দি মানুষ নৌকা নিয়ে চলাচল করছে। মগনামা ইউনিয়নের দু’টি ওয়ার্ড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়িঘর লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘরে চুলায় আগুন জ্বলছেনা। নলকুপও পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ক্ষুর্ধাত মানুষ ও পরিবারের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রচন্ড লবনাক্ততার কারনে ওই দু’ওয়ার্ড়সহ এ ইউনিয়নের বিপুল অংশে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন কোন পুকুর নেই যেগুলোতে লবনাক্ত পানি ঢুকে পড়েনি। পয়নিস্কাশন ও দৈনন্দিন গৃহস্থলি কার্যক্রমে কাজে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কুতুবদিয়া চ্যানেল সংশ্লিষ্ট পাউবোর বেড়িবাঁধ বিলিন হয়। শরতঘোনা জাবের আহমদের বাড়ি থেকে হুমায়ন কবিরের প্রজেক্ট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানির তোড়ে বিধ্বস্থ হয়। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। কাকপাড়া অংশের একাধিক পয়েন্টে বেড়িবাঁধ বিলিন হয়েছে। বর্তমানে মগনামার অন্তত ২০টির অধিক গ্রামে নিয়মিত জোয়ার-ভাটা চলছে।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১ ও ২নং ওয়ার্ড় পুরো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বাজারপাড়া, শরতঘোনা, পশ্চিম বাজারপাড়া, হারঘরপাড়া, হারুন মাতবরপাড়া, লালমিয়া পাড়া, দরদরিঘোনা, মটকাভাঙ্গা, চেরাংঘোনা, কালারপাড়া, শুদ্ধখালী পাড়া, ডলিন্যাপাড়া ও কাকপাড়ায় সড়কের উপরে প্রায় ২-৩ফুট পানি হয়েছে। দুপুরের জোয়ারের পানিতে এসব এলাকা সয়লাব হয়েছে। ইউপি সদস্য মোকতার আহমদ, নুরুল আজিম, স্থানীয় এসআর আহমদ, সালাহ উদ্দিন এমএ, জসিম উদ্দিন, নুরুল আবছার জানান, কষ্ট বুঝি কপাল থেকে যাবে না। এভাবে পানির নিচে আর কতদিন থাকতে হবে আল্লাহ জানে। পানিতে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার না হলে মগনামা ছেড়ে পাহাড়ে চলে যেতে হবে। এ ব্যাপারে মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জানান, জোয়ারের পানি কমে গেলে মগনামাবাসীকে রক্ষার জন্য আপতত রিং বাধ তৈরী করা  হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন