কক্সবাজার জেটিঘাটের একটি চায়ের দোকানে বাচ্চা প্রসব
মহেশখালী প্রতিনিধি:
শাপলা দত্ত মহেশখালী উপজেলার ঠাকুরতলা গ্রামের কাজল দত্তের স্ত্রী তিনি। মধ্যরাত থেকে প্রসব বেদনায় ভুগেছেন এই নারী। দ্বীপ মহেশখালী থেকে সহজে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ সাগরপাড়ি দেয়া।
কিন্তু সে পথ পাড়ি দিতে যে বাহন প্রয়োজন তা পাইনি এই নারীর স্বজনরা। মধ্যরাত থেকে হয়ে গেছে ভোর। সাগর ও বাকখাঁলী নদীর মোহনা পাড়ি দিয়ে আসে কক্সবাজার ৬নং জেটি ঘাটে।
তীরে আসার সাথে সাথে বেড়ে যায় প্রসব বেদনা। আর তাই সোমবার (১০ মার্চ) সকালে জেটিঘাটের একটি চায়ের দোকানে শাপলা দত্তের কোলে আসে একটি কন্যা সন্তান।
পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, মধ্যরাতে প্রসব বেদনা শুরু হওয়ায় শাপলাকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে কক্সবাজার আনার কথা বলে চিকিৎসক। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে চায়ের দোকানেই সন্তান প্রসব করতে হয়েছে শাপলাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম জানান, হঠাৎ স্পীড বোট থেকে এক নারীকে উঠানো হচ্ছে। মোহনা থেকে একটি দোকানে আনার পর সেখানেই তার সন্তান প্রসব করা হয়। পরে তাকে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুল হক শাপলা দত্ত নামে কোন রোগীকে রেফার করা হয়নি বলে দাবি করেন।
তবে অভিযোগ উঠেছে মহেশখালী জেটি ঘাটে রাতে রোগিদের জন্য স্পিটবোট না থাকার কারণে এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে।