জিয়াউর রহমান পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও উন্নয়ন দিয়েছে: ওয়াদুদ ভূইয়া

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, বিএনপি সকল সম্প্রদায়ের নিরাপদ ঠিকানা দাবি করে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট  জিয়াউর রহমান পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও উন্নয়ন দিয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তনের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। পাহাড়িদের ভাগ্য পরিবর্তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ পাহাড়িদের জোর করে বাঙালি বানাতে গিয়ে এ অঞ্চলে অশান্তি বিজ বপন করেছিলেন।

শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাথে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সাথে শারদীয় শভেচ্ছা বিনিময় করতে আসা  ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াদুদ ভূইয়া ত্রিপুরা নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোক বসে আছেন। অথচ ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এত অবহেলিত কেন? কেন চাকুরী নিতে ৮-৯ লাখ টাকা লাগে।

অপর দিকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বার বার পাহাড়িদের ভোট নিয়ে প্রতারণা করেছে। ক্ষমতায় গিয়ে পাহাড়িদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তাই আগামী নির্বাচনে পাহাড়িরা ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করে বিএনপির পতাকা তলে সমবেত হবে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মণীন্দ্র কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, অনিমেষ দেওয়ান নন্দিত, যুগ্ম সম্পাদক অনিমেষ চাকমা রিংকু ও সাংগঠনিক সম্পাদক খনি রঞ্জন ত্রিপুরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, , কার্বারী ললিত বিকাশ ত্রিপুরা, ত্রিপুরা নেতা প্রশান্ত ত্রিপুরা, কাচাক ত্রিপুরা, প্রিজুয়েল ত্রিপুরা, বিপন ত্রিপুরা, নব রায় ত্রিপুরা, নারায়ন ত্রিপুরা, কিনা রাম ত্রিপুরা, কিশোর ত্রিপুরা, কমল বিকাশ ত্রিপুরা ও রতন জ্যোতি ত্রিপুরা।

অনুষ্ঠানে জেলার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন