জামায়াত নেতা তোফায়েলসহ আটকৃত ২ জন কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবান ডিবি পুলিশের হাতে আটক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. তোফায়েল আহমদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহবায়ক আতিকুর রহমানকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, আটক মো. তোফায়েল আহমদ ও আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করে ডিবি পুলিশ। সোমবার বিকেলে তাকে জেলা সদরের সিনিয়র বিচারক হাকিম তাহমিনা আফরোজের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য্য করে তাদরেকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার শহরের রাজার মাঠ এলাকায় ঘুরাঘুরি করার সময় ডিবি পুলিশের দল মো. তোফায়েল আহমদ এবং রাতে শহরের বাসষ্টেশনের কাশেম পাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে আতিকুর রহমানকে আটক করে।
তবে পুলিশ রবিবার দুপুরে ডিবি পুলিশের হাতে আটক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. তোফায়েল আহমদ ও আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করে রোববার রাতেই।
পুলিশ এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রাতে আতিকুর রহমানের বাসায় ১০-১২ নিয়ে নাশকতার প্রস্তুতি হিসেবে গোপন বৈঠকে করছিলেন। পুলিশের অভিযানে এজাহারে উল্লেখিত ৫-৬ জন পালিয়ে যায়। অভিযানে এসময় তার বাসা থেকে ২টি চাপাতিসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম সহ তাদের আটক করেন পুলিশ।
প্রসঙ্গত, জামায়াত নেতা তোফায়েলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলা, সাইবার ক্রাইম আইনে মামলাসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। সব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। জামিনে থাকলেও পলাতক থাকায় দীর্ঘদিন উপজেলা পরিষদে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশে চেয়ারম্যান তোফায়েলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান তোফায়েলের স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার জেসমিন বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা রয়েছে সব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে বান্দরবান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. তোফায়েল আহমদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক আতিকুর রহমানকে হাজির করা হয়।
এদিকে তারা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ বলেন, বিনা অপরাধে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।