জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ আহত ৫

রামু প্রতিনিধি:

রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ ৫জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে হতদরিদ্র ব্যক্তির বসত বাড়ি। কেটে দেয়া হয়েছে অসংখ্য ফলজ গাছ। শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটে।

এতে আহতরা হলেন, মুবিনুল হকের স্ত্রী আমিনা খাতুন (৩৭), মেয়ে কলেজ ছাত্রী মরিয়ম ছিদ্দিকা (১৯) ও আয়েশা ছিদ্দিকা (১৭), রহমত উল্লাহর ছেলে অহিদুল ইসলাম (৪), স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৩)।

আহতরা জানান, তাদের পাশের দুই বাড়ির বাসিন্দা আমির হোছন ও নুরুল হাকিম দীর্ঘদিন তাদের বসত ভিটে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। এনিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বিষয়টি বিচারাধিন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বসত ভিটে জবর-দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে।

হামলাকারীর নিরীহ নারী-পুরুষদের কুপিয়ে ও লাঠি সোটা দিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলার শিকার ৪ বছরের শিশু অহিদুল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হামলাকারীরা হলো, আমির হোছন ও তার ছেলে ছালামত উল্লাহ, রিফাত উল্লাহ, নুরুল হাকিম ও তার ছেলে আলমগীর, রহমত উল্লাহ, আরাফাত উল্লাহ সহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জন। ইউপি সদস্য রহিম উল্লাহ মারধর, ভাংচুর ও ফলদ গাছ কেটে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তবে তিনি জানিয়েছেন, বিচারাধিন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেনি। একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি এ ঘটনায় আহত শিশুসহ অন্যান্যদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন।

এদিকে হামলার শিকার কলেজ ছাত্রী মরিয়ম ছিদ্দীকা ও আয়েশা ছিদ্দিকার বাবা মুবিনুল হক জানান, এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে হামলাকারীরা তাদের বিভিন্নভাবে হুমকী ধমকি দিচ্ছেন। এ কারণে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাত উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় তার বোন তছলিমা আকতার (১৬) আহত হয়েছে। তবে কারা মারধর করেছে তা তিনি বলতে পারেননি। কথার এক পর্যায়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য রহিম উল্লাহ দীর্ঘদিন বিরোধ নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়ে আহতদের কাছ থেকে জুড়িসিয়াল স্টাম্পে স্বাক্ষর ও টাকা জমা নিয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে আজ-কাল বলে বিচার নিষ্পত্তি না করায় বিষয়টি হানাহানিতে গড়ালো। স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য ইউপি সদস্য রহিম উল্লাহর অবহেলাকে দায়ি করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন