জঙ্গিবাদসহ যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে বিশেষায়িত পুলিশ বাহিনী ‘পুলিশ কমান্ডো’ গঠন
নিজস্ব প্রতিবেতক, খাগড়াছড়ি:
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল(আইজিপি) একে এম শহীদুল হক বলেছেন, জঙ্গিবাদসহ যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে সরকার বিশেষায়িত পুলিশ বাহিনী ” পুলিশ কমান্ডো কোর্স” চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। সে উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিশ্বমানের “পুলিশ কমান্ডো কোর্স” শুরু হয়েছে। এটাই হবে বাংলাদেশ পুলিশের কমান্ডো ফোর্স তৈরির প্রথম কার্যক্রম। জঙ্গিদের কৌশল পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে সরকারের ইচ্ছায় এ বাহিনী গঠন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে(Police Commando Course) “পুলিশ কমান্ডো কোর্স” (পিসিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আইজিপি একে এম শহীদুল হক পুলিশ কমান্ডো কোর্স’র কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি (স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং এন্ড স্পোটর্স) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি এপিবিএন কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আওরংজেব মাহবুব ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলীসহ উর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা।
আইজিপি একে এম শহীদুল হক বলেন, দেশে বড় ধরনের জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা কিংবা আপদকালীন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নিয়মিতভাবে কমান্ডো প্রশিক্ষণের (ট্রেনিং) অংশ হিসেবে বিশ্বমানের পুলিশের এ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ। এখানে কমান্ডো প্রশিক্ষণের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ বজায় রাখা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সামর্থ বৃদ্ধির জন্যে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামসহ সব ধরনের ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিয়ে পুলিশের কমান্ডো ফোর্সকে সুসজ্জিত করা হবে। যাতে তারা যে কোনো সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। এর আগে কঠোর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীতে কমান্ডো বা প্যারাকমান্ডো তৈরি করা হয়েছিল।
এর আগে আইজি খাগড়াছড়ি নতুন পুলিশ লাইন্স স্কুলের সম্প্রসারিত ভবনসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সূত্র মতে, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভারতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৪০ সদস্য কমান্ডো প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে এক নারী সহকারী পুলিশ সুপারসহ পাঁচ নারী পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এখন প্রশিক্ষিত ঐ সদস্যরা অন্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা কমান্ডো ট্রেনিংয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এফবিআইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডিএমপি’র বিশেষায়িত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াতসহ বিভিন্ন টিমের অভিজ্ঞ চৌকস অফিসাররা এ কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেবেন।