চাকঢালায় স্থল বন্দর হলে উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নয়নের দ্বার খুলে যাবে

Manab Banddon- 09-03-17-2 copy

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালায় স্থল বন্দর স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কয়েক শতাধিক জনসাধারণ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি আমতলীমাঠ এলাকায় ঘন্টাব্যাপী কয়েকশ নারী পুরুষ, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে অতি সহজে যাতায়াতের জন্য বহু বছর যাবত আমতলীমাঠ এলাকায় স্থল বন্দর স্থাপনের দাবি করে আসছে স্থানীয় জনসাধারণ। সম্প্রতি নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় স্থল বন্দর স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হলে নতুন করে আশায় বুক বাধে চাকঢালার হাজার হাজার জনগণ। এ ধারাবাহিকতায় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজান খান এমপি ১০-১১মার্চ ঘুমধুম ও চাকঢালায় সম্ভাব্য স্থল বন্দরের জায়গা পরির্দশনে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত চাকঢালা সফর বাতিল করা হয়। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালার হাজার হাজার মানুষ।

এ লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনসাধারণ মানববন্ধনে মিলিত হয়। মানববন্ধন চলাকালীন প্রায় এক ঘন্টা থমকে যায় পুরো চাকঢালা এলাকা। স্থল বন্দরের দাবিতে দলমত নির্বিশেষে হাতে হাত মিলিয়ে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন এসব জনগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের উন্নয়ন করতে চাইলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৩-৪৪ নং পিলারের মধ্যবর্তী চেরারমাঠ-আমতলীমাঠ এলাকায় ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন প্রয়োজন। এতে করে পুরো উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে। স্থল বন্দর চালু হলে উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নয়নের দ্বার খুলে যাবে নতুন করে। বক্তারা আরও বলেন, ঘুমধুমে স্থলবন্দর হউক সেটা আমরাও চাই, তবে নাইক্ষ্যংছড়ি তথা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে ডিঙ্গিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের সুযোগের জন্য নয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. সিরাজুল হক, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোজ্জাফর আহমদ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজেলার চাকঢালায় স্থল বন্দর সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ লক্ষ্যে চলতি বছর ৮ফেব্রুয়ারি চাকঢালা চেরারখাল ইলিয়াছ মৌলভীর বাড়ি সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের ৪৩ ও ৪৪নং পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ২৭০নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজার ২৫০২, ২৫২৬, ২৫৫৯, ২৫৬৬, ২৫১২, ২৫৭৫, ২৬৫৫ দাগাদিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকার প্রতিবেদনও দাখিল করা হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে।

এদিকে শুক্রবার ঘুমধুম স্থল বন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে  নাইক্ষ্যংছড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন