চাকঢালায় স্থল বন্দরের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করলেন ইউএনও

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের চাকঢালা পয়েন্টে স্থল বন্দর চালুর প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্ভাব্য স্থল বন্দরের জন্যে স্থান নির্ধারন ও প্রাথমিকভাবে অবকাঠামোর জন্যে জমি বা ভূমি সার্ভে করেছেন। এতে করে সীমান্তের চাকঢালাসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে আশা করছেন সুশীল সমাজের লোকজন।

সূত্র মতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা বা আশারতলী পয়েন্টের মধ্যে পরিবেশগত সুবিধা থাকার কারনে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা নানাভাবে ব্যবসা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। যদিও সীমান্তের এ পয়েন্ট  গুলো  দিয়ে  প্রতিদিন অবৈধ পথে পণ্য আনা নেয়ার অবৈধ  কাজ ঠেকানো যাচ্ছে  না সেহেতু সরকার সিদ্ধান্ত নেন যে, এ পয়েন্টে আরেকটি স্থল বন্দর হোক। যার মাধ্যমে সমতল পথ দিয়ে সহজেই যেন উভয় দেশের শতশত ব্যবসায়ীরা বৈধ ব্যবসা করতে সুযোগ পাক। আর এতে সরকারও পেতে পারে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

এ সব চিন্তাভাবনা করে সরকারের আস্থাভাজন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন চাকঢালা সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে স্থল বন্দর নির্মাণের  তৎপরতা শুরু করতে।

বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিদের্শ দেন যেন দ্রুতগতিতে সীমান্তের এ পয়েন্ট দিয়ে স্থল বন্দরের কাজ শুরু করতে ভূমি জরিপ বা অবকাঠামো নির্মাণে স্থান বাছাইয়ের কাজ চুড়ান্ত করে সরকারকে রিপোর্ট দিতে। এরই প্রেক্ষিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সীমান্তের ৪৩ ও ৪৪  নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন সম্ভাব্য স্থল বন্দর উপযোগী চেরারমাঠ এলাকা পরির্দশন করেন। পাশাপাশি এখানের ঝিরি ও ছড়ার উপর ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের জন্যে মাপ-ঝোঁপ  করেন একই সময়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সারওয়ার কামাল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের নিদের্শে তিনি চাকঢালার এ পয়েন্ট দিয়ে স্থল বন্দরের স্পট নির্ধারণে ভূমি সার্ভে করা সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজকর্ম শুরু করতে ওইস্থানে গেছেন। সাথে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম ও উপজেলা সার্ভেয়ার মনির হোসেন সহ সংশ্লিষ্টরা এখানে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, তারা অতি দ্রুত এ বিষয়ে রিপোর্ট দেবেন সরকারকে। আশা করা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার এ পয়েন্টেও স্থল বন্দরের জন্যে কার্যক্রম তড়িত শুরু করবে সরকার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন