চাঁদাবাজদের কারণে সমাজের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর

Lama mp pic-8.4

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

সন্ত্রাস, জঙ্গি ও চাঁদাবাজদের কারণে সমাজের উন্নয়ন কাজ বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে। তারা সমাজের শত্রু। সন্ত্রাসীরা সমাজের কারো স্বজনও হতে পারে না। এদেরকে যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে তারাও সমান অপরাধী বলে গন্য হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজ থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের রুখে দিতে হবে। রুপসীপাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিন পার্বত্য জেলায় জন কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করে। সকলের প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে।

তিনি আরও বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, বৌদ্ধ মন্দির, স্কুল, মাদ্রাসা, রাস্তা ঘাট নির্মাণ ও বিদ্যুত সরবরাহসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানেও কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। ভবিষ্যতেও এ উন্নয়ন কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে। মানুষ আমাকে ৫ বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের খাদেম হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে।

বান্দরবানের লামায় জন কল্যানে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের ১২টি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া লামা পৌরসভায় মেয়রের হাতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের থেকে দেওয়া একটি গার্বেস ট্রাকের চাবি হস্তান্তর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

সূত্র জানায়, শনিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে  সাড়ে ১০কোটি টাকা ব্যয়ে মাতামুহুরী নদীর রাজবাড়ি-মেরাখোলা পয়েন্টে ব্রিজ, একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভবন, মাতামুহুরী নদীর উপর রাজবাড়ি পয়েন্টে ব্রিজ, লামামুখ হতে শিলেরতুয়া রাস্তা ও রুপসীপাড়া হতে মংপ্রু পাড়া রাস্তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

পরে রুপসীপাড়া মসজিদের দ্বি-তল ভবন, তপোবন বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, ধর্মরত বৌদ্ধ বিহার, সুনন্দ বৌদ্ধ বিহার ও রুপসী পাড়ায় লামা খালের উপর নির্মিত ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ ও বৌদ্ধ ক্যাং এ সাউন্ড সিস্টেম প্রদান করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এ সময় আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ লামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মোস্তাফা জামাল, ফাতেমা পারুল, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবু মুছা ফারুকী লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু, লামা উপজেলা মুক্তিযোদ্দা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন