চকরিয়া সাবেক পৌর কাউন্সিলরসহ দু’জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি :
চকরিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশের (৪৪) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফাঁশিয়াখালী ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও পিএম জুয়েলার্সের মালিক অনিমেষ রঞ্জন দে বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া পৌরসদরের হক সুপার মার্কেটে ফাসিয়াখালী ইউপি সদস্য অনিমেষ রঞ্জনের মালিকানাধীন পিএম জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তিনি নিয়মিত ব্যবসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। গত কয়েক মাস ধরে চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দিলে সে দোকান করতে দেবে না বলে হুমকি ধমকিও দিতেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫টার দিকে অনিমেষ স্বর্ণের দোকানে বসা অবস্থায় সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ সহ ২-৩ জন সহযোগী নিয়ে চাঁদার জন্য আসেন। ওইসময় তাকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে দাবিকৃত চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।

ইউপি সদস্য অনিমেষ রঞ্জন দে জানান, সর্বশেষ গত ২৮ ফ্রেবুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চিরিঙ্গা কেন্দ্রীয় হরিমন্দিরের সামনে গেলে অর্তকিতভাবে সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ তার ভাই গোপাল দাশ সহ ২-৩জন সহযোগি নিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চায় তার কাছ থেকে। এসময় কিসের টাকা জানতে চাইলে অর্তকিতভাবে তারা কাটা বন্দুক ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এতে মারাত্মকভাবে আহত হই।

তিনি আরও বলেন, এসময় তার কাছে থাকা প্রায় ৫০হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন একটি স্বর্ণের চেইন লুট করে নিয়ে যায়। পরে চকরিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার অনিমেষ বাদি হয়ে সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ ও তার ভাই গোপাল দাশকে আসামী করে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরের কথা জানান তিনি। মামলা নং ৩০৭/২০১৭। মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ওসিকে তদেন্তর নির্দেশ দেন আদালত।

এরআগে একই মার্কেটের লাকী জুয়েলার্সের মালিক সুনীল ধর মহাজনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিলো। চাদা না দেওয়ায় হামলা ও ভাঙচুর করে। সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানা ও আদালতে ভাঙচুর, লুটপাট ও চাদাবাজির আরও ৪টি মামলা রয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান অনিমেষ রঞ্জন দে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন