চকরিয়া-পেকুয়ায় নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনীর টহল: স্বস্তিতে সাধারণ ভোটাররা

চকরিয়া প্রতিনিধি:

নির্বাচনী সহিংসতা রোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসেনও গত সোমবার(২৪ ‍ডিসেম্বর) থেকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রাখার জন্য প্রশাসনের সহায়ক ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।এছাড়া ২০ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে ১৬০ সদস্যের বিজিবি দলও। যেকোনো সময় মাঠে নামবে র‌্যাবের টহল টিম। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে সেনাবাহিনীকে মাঠে দেখে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্থি।

সোমবার সকাল থেকে চকরিয়া-পেকুয়ায় প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে টহল দিতে শুরু করেছে সেনাবাহিনী। ফলে নির্বাচনী মাঠের নিরাপত্তাবলয় আরও জোরদার হলো বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ মানুষ।

সাধারণ ভোটারদের দাবি, নির্বাচনী মাঠে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার হওয়ায় চকরিয়া-পেকুয়ার উপকূলীয় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে দাবি জানিয়েছে এলাকার সাধারণ ভোটাররা।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসনে নির্বাচনী প্রচারাভিযানের শুরু থেকেই দু’উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জন্য নির্বাচনী মাঠে থাকা দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পর পরস্পরকে দায়ী করছে। এ নিয়ে নির্বাচনী মাঠ নিয়ে এক প্রকার আতঙ্কে সাধারণ ভোটাররা। তবে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর মাঠ অনেকটাই শান্ত লক্ষ্য করা গেছে।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, এ উপজেলায় সহিংসতা রোধে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে ১৬০ সদস্যের বিজিবি দল। সোমবার থেকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে। এছাড়া আজকালের মধ্যে মাঠে নামবে র‌্যাবের টহল টিমও। সুতরাং সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই চকরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে ভোটাররা নির্বিঘ্নেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

অপরদিকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মো.মাহবুবুউল করিম বলেন, সোমবার সকাল থেকে পেকুয়ায় মাঠে নেমেছে  সেনাবাহিনীর ৬৫জন সদস্য। কয়েকদিনে মধ্যে সেনাবাহিনীর আরও সদস্য তাদের সাথে যোগ দেবেন। ২০ ডিসেম্বর থেকেই মাঠে রয়েছেন বিজিবির ১৩৪জন সদস্য। আজকালের মধ্যে নামবে র‌্যাবের টহল টিমও। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাবের পাশাপাশি পুলিশের স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। সুতরাং কোনো বাধা বিঘ্ন ছাড়াই সুষ্ঠু পরিবেশেই পেকুয়া উপজেলার ভোটাররা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত: কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩৯টি। এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ৯৯টি এবং পেকুয়া উপজেলায় ৪০টি। দু’উপজেলার সবকটি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন