চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

চকরিয়া প্রতিনিধি:

আগামী ১১জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এ দিবস উপলক্ষে সারাদেশে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মী থেকে শ্রেষ্ঠ মাঠ কর্মী নির্বাচিত করা হবে। মাঠ কর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নির্দেশনা মোতাবেক তার অনুগত এফপিআই জিশান, ইজ্জেতুল আনোয়ার ও আজিজুল মন্নানের ইচ্ছেমাপিক পছন্দনীয় ব্যক্তিদের শ্রেষ্ঠ মাঠ কর্মী হিসেবে নির্বাচন করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে কাজ না করে প্রতিদিন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অফিসে আড্ডায় ব্যস্থ থাকার অভিযোগও রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে এফপিআই তাদের ইচ্ছে মোতাবেক মনোনীত কর্মী নিয়োগ করে নানা অনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল ও ফিক্সেশন সংক্রান্ত অন্যায়ভাবে নেওয়া টাকা ফেরৎ ও একই পদে দীর্ঘকাল ধরে চাকুরী করায় তাকে বদলী কিংবা অপসারণের দাবিতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ওই দপ্তরের ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এনিয়ে গত ২৬ মে’১৬ইং অনুষ্ঠিত চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভার সিদ্ধান্তের আলোকে অবৈধভাবে নেওয়া টাকা ফেরৎ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজনকে টাকা ফেরৎ দেওয়া শুরু করেছেন। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সভাপতি ও চকরিয়া পেকুয়া আসনের এমপি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলাম, পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম সহ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম কর্তৃক গত ৩১মে থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নেওয়া অবৈধ টাকা ফেরৎ দিচ্ছেন। তন্মধ্যে এফপিআই ইজ্জতুল আনোয়ার রোমেল মারফতে পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের রাহেলা বেগমকে আন্ত:ইউনিয়ন বদরী সংক্রান্ত ২০হাজার টাকা ফেরৎ ও কর্মচারী নির্মুল বড়ুয়াকে ১হাজার টাকার মধ্যে ৪শত টাকা সহ ২০ থেকে ২৫ জনকে টাকা ফেরৎ দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম বলেছেন, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল ও ফিক্সেশন সংক্রান্ত যার যার স্বার্থের জন্য অফিসের কর্মচারীরা উক্ত টাকা নিয়েছিলেন। এখানে তার কোন সম্পৃক্ত নেই। এরপরও সভার সিদ্ধান্তের আলোকে কর্মচারীদের মাধ্যমে উক্ত টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন