Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

চকরিয়ায় হত্যা মামলার বাদী কলেজ ছাত্রকে জবাই করে হত্যা

Chakaria MURSED 29-05-2016

চকরিয়া প্রতিনিধি:
বড় ভাই খোরশেদ আলমকে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করায় এবং ওই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া অব্যাহত হুমকির মুখে অবশেষে মামলার বাদী ছোট ভাই কলেজ ছাত্র মোর্শেদ আলম (২২) জবাই করে হত্যা করেছে চিংড়ি জোনের চিহ্নিত দস্যু-সন্ত্রাসীরা। চকরিয়া থানা পুলিশ নিহত মোর্শেদের লাশ উদ্ধার করেছে।

২৯মে রবিবার সকাল দশটায় চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা রাবার ড্যামের পাশে একটি গর্ত থেকে তার জবাই করা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সওদাগর ঘোনা এলাকার জহির আহমদের ছেলে ও ডুলাহাজারা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

নিহত মোর্শেদের বড় বোন মুর্শিদা বেগম জানান, তার ছোট ভাই মোর্শেদ আলম গত শনিবার রাত নয়টার দিকে বাড়ির পাশে একটি দোকানে ক্যারাম খেলছিলো। এসময় স্থানীয় কালা মনুর স্ত্রী ও তাদের আত্মীয় ইসমত আরা বেগম নামের এক মহিলা ক্যারাম খেলারত মোর্শেদকে কথা আছে বলে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তখন থেকে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।

রবিবার সকাল নয়টার দিকে রামপুর এলাকার কয়েকজন জেলে মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গেলে রাবার ড্যামের পাশ্ববর্তী একটি গর্তে মোর্শেদ আলমের লাশ দেখতে পেয়ে তাদের আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়। পরে চকরিয়া থানা পুলিশ সকাল দশটার দিকে ওই স্থানে গিয়ে মোর্শেদের লাশ উদ্ধার করে। এব্যাপারে মুর্শিদা বেগম বাদি হয়ে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জালাল উদ্দিন ও সামসুল আলমের ছেলে নাছিরউদ্দিনসহ আটজনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

বাদি আরও জানান, তার ভাইকে ইসমত আরা বেগমের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গেয়ে জবাই করে হত্যার পর গভীর রাতে তার লাশ রাবার ড্যামের গর্তে ফেলে দিয়েছে। ২০১৪ সালের ১২ই অক্টোবর এলাকায় আধিপত্য নিয়ে একই ভাবে তার অপর ভাই খোরশেদ আলমকেও জালাল উদ্দিন ও নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। ওই মামলায় আপোস দেওয়ার জন্য মোর্শেদকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিলো খুরশেদ হত্যা মামলার খুনিরা। আপোস না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত মোর্শেদকে হত্যা করা হয়।

চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ রাবার ড্যাম থেকে মোর্শেদের জবাইকৃত লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এঘটনায় তার বোন আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে। এলাকাবাসী জানান, নিহত মোর্শেদ তার বড় ভাই চিংড়িজোনের ত্রাস আলকোমাসের বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন