চকরিয়ায় স্কুল গড়তে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন সাংবাদিক

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর ৪নম্বর ওয়ার্ডে নিজের শিক্ষাবঞ্চিত অবহেলিত গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়াতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন অদুল।

রোববার(৮ অক্টোবর) বিকালে স্কুল চলাকালে স্থানীয় কয়েকটি স্বার্থান্বেষী পরিবারের সদস্যরা এ সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাট চালায়।

সাংবাদিক মহিউদ্দিন অদুল অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তাদের গড়া প্রতিষ্ঠান ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজে সশস্ত্র হামলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারি ও শ্রমিকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। স্কুলে ভাঙ্গচুর চালানো হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র।

হামলায় আহতদের মধ্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর মাস্টার নুরুন্নবী, স্কুলের শিক্ষক একরাম মিয়া (২৮), খ্রিশ্চিয়ান যিহিষ্কেল মণ্ডল বিপ্লব (৩৫), নাহিদা সুলতানা (৩০), স্মৃতি আফনানা লাকী (২৬), মো. রাসেল (২২) এবং স্কুলের ছাত্র তুহিন (১২), আমিনুল হক রানা (১৫), ইয়াহিয়া (১৪) ও শ্রমিক জামাল উদ্দীন মনু (৪৫)। আহতরা চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

সাংবাদিক মহিউদ্দিন অদুল জানান, গত ১২দিনে পাশের স্বার্থান্বেষীদের হাতে দু’বার হামলার শিকার হল রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা ও ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি। রবিবার সন্ত্রাসীরা দু’কিলোমিটার দুরে বদরখালী বাজারে দা, কিরিচসহ সংগঠিত হয়ে প্রকাশ্য মহড়া দিয়ে গিয়ে এবং উশৃঙ্খল নারীরা পাশের ঘর থেকে বের হয়ে এই হামলা চালায়।

হামলা ও চক্রান্তকারীরা হল, স্কুল সংলগ্ন ঠুটিয়াখালী ও খালকাঁচাপাড়ার বাসিন্দা, আশরাফ আলী (৫২), নুরুল হুদা বদ (৪৫), জয়তুন্নাহার মানু (৩২), মো. ইসমাইল (৩০), মো. ইউসুফ, নুরুন্নবী (৫৫), মাওলানা আবদুল মন্নান (৭০), মো. জাহাঙ্গীর (৩২), জিয়াসমিন (২৮), মো. আলমগীর (২৯), মিনা আক্তার (২৮), রফিক উদ্দিন মাঝি (৩২), ছৈয়দ নুর-১ (৪০), হাছিনা বেগম (৪৩), শহর আলী (৪৫), রেহেনা বেগম (৩৫), রুনা আক্তার (৩০), মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ছৈয়দ নুর (৫০), মোজাফ্ফর আহামদ (৪৫) ও আবদুল মন্নানসহ (২৩) অর্ধশতাধিক লোক। ঘেরাওয়ে বাধার পর তারা স্কুলের গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তারপর ছিটকিনি ভেঙ্গে আশ্রয়নেওয়া শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়। বৃষ্টির মত কংকর নিক্ষেপ করে। রেড ক্রিসেন্ট ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন