চকরিয়ায় সরকারি কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রভাবশালী এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে জায়গা জবর দখল করার অভিযোগ উঠেছে। জায়গা জবর দখলে নেয়ার এই অভিযোগ তুলেছেন প্রকৃত জায়গার মালিক ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ পোকখালী এলাকায় সোমবার (২৮মে) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ইলিশিয়া পোকখালী এলাকার আবদুর রহমানের পুত্র নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ ইলিশিয়া এলাকার জমিদার খান সাহেব মকবুল আলীর পুত্র আলহাজ মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর পৈত্রিক ১ একর ৫০ শতক জায়গা আরএস মূলে জোতদারী রায়তি সম্পত্তি হিসেবে সফর উদ্দিনের পুত্র আবদু রহমান ও ছলিমা খাতুনের নামে ১৯৪৮ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে জমি বিক্রি করে কবুলিয়ত দলিল মূলে মালিক হয় ভূক্তভোগী পরিবার। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত ওই জায়গার মালিক তাদের নামে পশ্চিম বড় ভেওলা মৌজার অধীনে ২২১ নম্বর বিএস খতিয়ানে ২৫৫৬ দাগে ১.৫০ শতক নাল জমি হিসেবে রেকর্ড করে খতিয়ান সৃজন করেন।

জায়গার মালিক আবদুর রহমানের পুত্র ভোক্তভোগী নুর মোহাম্মদ বলেন, সোমবার সকালে আমার পৈত্রিক ভোগদখলীয় জায়গায় দোকান ঘরের মেরামতের কাজ করতে গেলে একই উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালীস্থ পূর্ব পাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোক্তার আহমদের পুত্র জিয়াবুল হক ও ডেমুশিয়া হাসপাড়া এলাকার হারুনুর রশিদের পুত্র মিনারের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে বাঁধা দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করে জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও দখলবাজরা তাদের উচ্চপদস্থ এক সরকারী কর্মকর্তার ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নাম ব্যবহার করে আমার দীর্ঘদিনের পৈত্রিক ভোগদখলীয় জায়গা জবর দখলে নিয়ে কাটাতারের ঘেরা দেন। জোরপূর্বক ওই দখলবাজ চক্ররা তাদের জমি দাবী করে প্রতিনিয়ত নানা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলাকে জবর-দখলের বিষয়ে অবহিত করলে চেয়ারম্যান পরিষদের দুইজন সদস্য ও চৌকিদারকে ঘটনাস্থলে পাঠালে দুবৃর্ত্তরা তাদের লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় যে, অবৈধ পন্থায় জোরপূর্বক জায়গা দখল ও দোকান নির্মাণের ঘটনার দিন সকালে ১০/১২ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল হঠাৎ করে মাটি ভরাট শুরু করে এবং কিছু সংখ্যক লোক পূর্ব থেকে তৈরি করা ভেঙ্গে যাওয়াবস্থায় পড়ে থাকা বেড়া, টিন অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি মোজাম্মেল হকের উপস্থিতিতে এহেন কাজে বাধা প্রদান করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

তারা আরও বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাধা উপেক্ষা করে অভিযুক্ত জিয়াবুল তার সরকারী কর্মকর্তার প্রভাব দেখিয়ে দাম্ভিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

এ বিষয়ে প্রকৃত জায়গার মালিক ভূমিটি পুনরুদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন