চকরিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা

Picture Chakaria.  07-08-2016
চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ে এক সংখ্যালঘু বিধবা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ ওই বিধবাকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে নানাভাবে হয়রানি করছেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। এনিয়ে ওই পরিবারটি চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমান্ত কুমার রুদ্র ১৯৮৯ সালে ৩৩৩২ নম্বর রেজিঃ দলিল মূলে বি.এস ২৮২৭নম্বর খতিয়ান মোতাবেক তার মামা মনিন্দ্র লাল রুদ্রের কাছ থেকে তিনশতক জমি দানমূলে মালিক হন। এরপর শ্রীমান্ত কুমার রুদ্রের পরিবার প্রায় বিশ বছর যাবত ওই জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। তিনি ২০০০সালে ১২ফেব্রুয়ারী মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পর তার কন্যা কৃষ্ণ রাণী রুদ্র ও স্ত্রী মিনতি রাণী রুদ্র ওয়ারিশ হিসেবে ওই জমির মালিক হন।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, হিন্দু শাস্ত্রীয় আইন মোতাবেক কন্যা কৃষ্ণ রাণী রুদ্র পিতার রেখে যাওয়া অর্পিত সম্পত্তির মালিকনা হতে না পারায় সম্পত্তির বর্তমান ওয়ারিশ হন বিধবা স্ত্রী মিনতি রাণী রুদ্র। ভুক্তভোগী বিধবার পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেন, শ্রীমান্ত কুমার রুদ্রের ওই জমি নিয়ে একই গ্রামের মনিন্দ্র রুদ্রের ছেলে সন্তোষ রুদ্র ও স্বপন রুদ্র গংয়ের লোকজন নানাভাবে দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এরই জের ধরে অভিযুক্ত সন্তোষ রুদ্র গং বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমান্ত কুমার রুদ্রের বিধবা স্ত্রী মিনতি রাণী রুদ্র  ও তার পরিবারের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য অজিত রুদ্র সাংবাদিকদের জানান, মনিন্দ্র লাল রুদ্র তার আপন ভাগিনা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমান্ত কুমার রুদ্রকে রেজিঃদলিল মূলে দানকৃত তিন শতক জমি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসে স্ত্রী বিধবা মিনতি রাণী রুদ্রের নামে নামজারী খতিয়াত সৃজন করতে গেলে মনিন্দ্র লালের ছেলে সন্তোষ রুদ্র ও স্বপন রুদ্র বাধা দেন, নানাভাবে হুমকি ও হয়রানি করে আর্থিকভাবে ক্ষতি করে আসছে।

স্থানীয় হারবাং ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে তদন্ত ও স্বাক্ষী প্রমাণে মনিন্দ্র লাল রুদ্র তিনশতক জমি দানপত্র হিসেবে তার ভাগিনা মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমান্ত কুমার রুদ্রকে দেয়ার সত্যতা মিলেছে। তিনি আরো জানান, এরপরও সন্তোষ রুদ্র গংয়ের লোকজন বিধবা মিনতি রাণী রুদ্রের ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য হয়রানি করে চলেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী  প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন