চকরিয়ায় মাজারের খাদেমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার চকরিয়াস্থ কাকারা ইউনিয়নের হযরত শাহ ওমর মাজারের খাদেমসহ (পরিচালক) ৮ জনের বিরুদ্ধে রুহুল কাদের নামক এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রুহুল কাদেরের স্ত্রী ছায়েরা বেগম বাদী হয়ে নালিশী অভিযোগ করলে তা আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
অভিযুক্তরা হলেন, মাজার শরীফের খাদেম মৌলভী মোহাম্মদ ইদ্রিস, খাদেম পাড়ার সাহাব উদ্দিন, জসীম উদ্দিন, মারুফ, আবু মিয়া, আবদুল নবী, এনাম ও রিদুয়ান।
এজাহারে বাদী ছায়েরা বেগম দাবি করেছেন, মাজার কমিটির কাছ থেকে ৫ বছরের চুক্তিতে ২০ হাজার টাকা জামানতে একটি দোকানঘর নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আসছিলেন তার স্বামী রুহুল কাদের। এরইমধ্যে মাজার এলাকায় মাদকসেবীদের উৎপাত বৃদ্ধি এবং এতে মাজারের পবিত্রতা নষ্ট হতে থাকায় এতে বাঁধ সাধেন তার স্বামী। এ কারণে মেয়াদ শেষ না হতেই মাজার কমিটি তার কাছ থেকে দোকান কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে জামানতের টাকা ফেরত চাইতে গেলে পরিকল্পিতভাবে রুহুল কাদেরকে হত্যা করা হয়।
এজাহারে আরো দাবি করা হয়েছে, ‘গত বৃহস্পতিবার রুহুল কাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে অণ্ডকোষ চেপে এবং হাত-পা বেঁধে শরীরের একাধিক স্থানে গরম পানি ঢেলে হত্যা করার পর লাশ মাজারের একটি পুকুর পাড়ে ফেলে রাখে।’ মাজার কমিটির পরিচালক ও খাদেম মৌলভী ইদ্রিস ও তার সহযোগীরা জড়িত রয়েছে। নিহত রুহুল কাদের কাকারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কসাই পাড়ার আমির হোসেনের পুত্র।
তবে অভিযুক্ত মৌলভী মোহাম্মদ ইদ্রিস দাবি করেছেন, মাজার বিরোধী লোকজনের ইন্ধনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া রুহুল কাদের মাজার কমিটির কাছ থেকে কোন টাকা পাওনা নেই এবং এনিয়ে কোন বিরোধও নেই।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা থানায় পৌঁছলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।’