Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

চকরিয়ায় বালু উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে আহত-৪

Chakaria Picture 20-07-2016, copy

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একটি স্কেভেটর ও একটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তদের মারধরে গুরুতর আহত হয়েছেন চারজন। পরে আহতদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতেরা হলেন সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ (৪৫), ভুপেন কুমার দে (৪০), সালাহউদ্দিন (৩১) ও স্কেভেটরের চালক শাহ আলম (৩৫)। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে হামলা ও আগুন দেয়ায় ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এবং তার লোকজনকে অভিযুক্ত করে তাদের শাস্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে চকরিয়া পৌরশহরে মানববন্ধন করেছে আহত সাবেক পৌর কাউন্সিলর লক্ষণ দাশের পক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত নারী পুরুষ।

এলাকাবাসি জানান, মাতামুহুরী নদীর ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকায় জেগে উঠা চর নিজের পারিবারিক খতিয়ান ভুক্ত জায়গা দাবি করে কিছুদিন ধরে সেখান থেকে স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করছিলেন চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ। এ নিয়ে লক্ষণ দাশের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের বিরোধের সৃষ্টি হয়।

আহত সাবেক কাউন্সিলর লক্ষণ দাশ বলেন, মাতামুহুরী নদীর ঘুনিয়া পয়েন্টে জেগে ওঠা চর আমার পারিবারিক খতিয়ানভুক্ত জায়গা। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছিলাম। ১৮ জুলাই সকালে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত অন্যের দেয়া ভুল তথ্যের মাধ্যমে আমার স্কেভেটরটি জব্দ করে। ওই স্কেভেটরটি প্রশাসনের হেফাজতেই ছিল। লক্ষণ দাশ অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার স্কেভেটরটি ও আমাদের পারিবারিক পুরোনো বসতঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাতামুহুরী নদীতে জেগে উঠা চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে গ্রামীণ অবকাঠামো হুমকির মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে স্কেভেটর কে বা কারা পুড়ে দিয়েছে তা আমার জানা নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন