চকরিয়ায় বসতভিটা দখলে নিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাড়ি ভাংচুর: স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরতর আহত

 

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বসতভিটার জায়গা জবর দখলে নিতে একদল দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব চালায়। এসময় দুবৃর্ত্তদেরকে বাধা দিতে গেলে বাড়ির গৃহকর্তা ও স্ত্রীকে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ভোক্তভোগী পরিবার ১৬ অক্টোবর সোমবার চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। গত শনিবার ভোররাতে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আহত স্বামী-স্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আক্তার ডুলাহাজারা মৌজার চৌহদ্দিভুক্ত চার শতক জমি রেজিস্ট্রি মূলে প্রকৃত জমির মালিক থেকে ক্রয় করে একটি টিনশেড বসতবাড়ি নির্মাণ করেন।

রিনা আক্তারের ক্রয়কৃত ওই জায়গার ভেতর স্থানীয় মো. বাবুল ও আমির হোসেন নিজেদের জায়গা আছে দাবি করে বেশ কিছুদিন ধরে বসতভিটার জায়গা দখলের জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত শনিবার ভোররাতে বাবুল ও আমির হামজার নেতৃত্বে ৬/৭জনের একদল দুবৃর্ত্ত সন্ত্রাসী নির্মিত ঘরে ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে বসতভিটা মালিক নুরুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী রিনা আক্তার (২৩)কে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী রিনা আক্তার বলেন, বসতভিটার জায়গা জবর-দখল নিতে বেশ কয়েকদফা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন একই এলাকার আবুল কালামের পুত্র বাবুল, হাজ্বী নুরুল হুদার পুত্র আমির হোসেন,  আমির হামজার পুত্র রবিউল ও তার কন্যা সাফিয়া বেগম। গত শনিবার রাত্রে জোরপূর্বক ভাবে ৬/৭জনের একদল দুর্বৃত্তদল সন্ত্রাসীরা হঠাৎ করে হামলা করে আমার নির্মিত বসতঘরে। এসময় তারা বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে বসতঘর ভেঙ্গে ফেলে।

ঘটনার সময় হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গেলে তারা আমি ও আমার স্বামীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলার এ ঘটনায় থানায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত রিনা আক্তার।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করার জন্য থানার এসআই এনামুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন