চকরিয়ায় তিন ভুয়া ডিবি পুলিশকে গণপিটুনি

চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট স্টেশনের যাত্রী ছাউনির কাছে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই মহিলার দেহ তল্লাশী ও তাদেরকে টেনে-হিচড়ে গাড়িতে তুলে নেওয়ার সময় জনতা এগিয়ে এসে তিনজনকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় দুইজন কৌশলে পালিয়ে গেলেও অপরজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে জনতা। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া তিনজনের মধ্যে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যুবকের নাম দেলোয়ার হোসেন (২৫)। সে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লিংক রোডস্থ মুহুরী পাড়ার মোহাম্মদ হাসানের ছেলে। পালিয়ে যাওয়ার অপর দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি টেকনাফে। তার নাম গিয়াস উদ্দিন। আরেক জনের নাম ওসমান গণি ওরফে দাদা ওসমান। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাট এলাকায়।

ঘটনার শিকার দুই মহিলা হলেন-জেলার টেকনাফ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ পহ্লান পাড়ার মাষ্টার বশিরুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩২) ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পহ্লান পাড়ার আবদুল হকের স্ত্রী শামশুন্নাহার (২৮)।

চকরিয়া থানার কয়েকজন অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া দেলোয়ারকে থানায় নিয়ে আসার পর সে নিজেকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের এক শীর্ষ নেতার শ্যালক বলে পরিচয় দেয় এবং ওই নেতাকে ফোন করতেও অনুরোধ করেন। এমনকি ওই নেতা তাকে ছেড়ে দিতেও পুলিশকে ফোন করেন।

তবে চকরিয়া থানার এসআই মো. মহিউদ্দিন খান জানান, চকরিয়ার ছিকলঘাট এলাকার কুখ্যাত বনদস্যু ও ইয়াবা সম্রা ওসমান গণি ওরফে দাদা ওসমানসহ তিন যুবক ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই মহিলার কাছে ইয়াবা রয়েছে মর্মে দেহ এবং ব্যাগ তল্লাশী করলে জনতার সন্দেহ হয়। এ সময় তাদের গণপিটুনি দেওয়ার সময় ওসমান ও গিয়াস পালিয়ে যেতে পারলেও জনতা দেলোয়ারকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় দুই মহিলাকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই মহিলাকে তল্লাশী করা ধর্তব্য অপরাধ। এ ব্যাপারে আটক যুবক এবং পালিয়ে যাওয়া দুইজনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।