চকরিয়ায় ডুলাহাজারা বনবিটে উজাড় হচ্ছে মাদার ট্রি সেগুন গাছ


চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ডুলাহাজারাস্থ ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন ডুলাহাজারা বন বিটের সদ্য যোগদান বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার ও কাঠচোরদের যোগসাজসে দিন দিন উজাড় হয়ে বিরানভূমির পথে চকরিয়ার ডুলাহাজারস্থ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মাদার ট্রি সেগুন বাগান। বনবিভাগের ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা রাজিব ইব্রাহীমের সাথে আতাত করেই প্রতিনিয়ত এ বন থেকে মূল্যবান মাদার ট্রি সেগুন গাছ কাটছে এলাকার চিহ্নিত কাঠচোর সিন্ডিকেট। সেগুন বাগান থেকে সংঘবদ্ধ কাঠচোরেরা রবিবার রাতে ৩টি মাদার ট্রি সেগুন গাছ কেটে নিয়ে য়ায়।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩জনকে আটক করেন বনবিভাগ। আটকদের  জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বন বিভাগের এঘটনা জানতে গিয়ে কাঠ চোরদের হাতে নাজেহাল হয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক উদ্দীন ও সমাজ সর্দার মো. দিদার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজারের উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন হচ্ছে ডুলাহাজারা বন বিট। বনবিটে সদ্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন রাজিব ইব্রাহীম নামের বিট কর্মকর্তা। তিনি যোগদানের পর থেকে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারা বনাঞ্চলে মালুমঘাট সেগুনবাগান এলাকার চিহ্নিত কাঠচোরদের সাথে যোগসাজসে ও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চোর সিন্ডিকেট হাতে তুলে দেয় ওই বনাঞ্চল। মালুমঘাট বাজারের উত্তর পাশে সেগুন বাগান থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি সেগুন গাছ সংঘবদ্ধ কাঠ চোররা কেটে নিয়ে যায় গত ৮ অক্টোবর রবিবার রাত্রে।

এক রাত্রেই তিনটি মাদার ট্রি সেগুন কাঠ চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনতা ফুসে উঠেছে। কাঠ চোরদের সাথে আতাত থাকার অভিযোগে ওই দিন রাতেই বন বিভাগের পাহারাদার তিন ভিলিজারকে আটক দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নাটক করার পর ছেড়ে দেয়া হয়। বনবিভাগের কাঠচোর নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নুরুল আমিন তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় লোকজন নিয়ে চোরাইকৃত কাঠ কাটার স্থান পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি ঘটনাস্থল থেকে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) হক মাহবুব মুর্শেদকে ফোন করে কাঠচোরদের আটক সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এছাড়া তিনি বর্তমান ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিনকে এ স্টেশন থেকে অন্যত্রে বদলি করা না হলে এ অঞ্চলের বাগান দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও অবহিত করেন।

এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা মো. রাজিব ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বন বিভাগ থেকে যে সব কাঠ চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কাঠ চুরিতে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আটকের জন্য খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন এ কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন