চকরিয়ায় টানা ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ৬ বসতবাড়ী নদীতে বিলীন

চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা ভারি বর্ষণে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ৩ জুলাই সোমবার বিকাল পাঁচটার দিকে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বেশির ভাগ নীচু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

পাহাড়ী ঢলে পানির তোড়ে পড়ে পৌরসভার দিগরপানখালী এলায় ছয় বসতবাড়ী মাতামুহরী নদীতে তলিয়ে যায়। এতে করে বর্তমানে উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক জনসাধারণ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টানা আর দু’য়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক আজিম জানিয়েছেন, টানা ভারী বর্ষণের কারনে গতকাল সকালে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমেছে। পানির প্রবল স্রোতে তাঁর ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। সোমবার দুপুর নাগাদ সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চারভাগের তিনভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়ে স্থানীয় লোকজন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।

কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত উসমান জানান, ভারী বর্ষণের কারনে নদীতে ঢলের পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী বেশির ভাগ এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে রাতের মধ্যে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিপাতে মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামার কারনে পৌরসভার একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। মাতামুহুরী নদীর ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অন্তত ২০ হাজার জনসাধারণ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান রাতে মুঠোফোনে বলেন, ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি প্রবাহ বেড়েছে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে।সোমবার বিকাল তিনটা নাগাদ নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।তবে নদীতে ঢলের পানি নামলেও এখন পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার কোন জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন