চকরিয়ায় চোয়ারফাঁড়ি স্লুইচ গেইট বন্ধ থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ফের টানা ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার আঠার ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌর এলাকা সমূহের অন্তত প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠি। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে সাহারবিলের চোয়ার ফাঁড়ি স্লুইচ গেইট বন্ধ থাকার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের চারটি ইউনিয়ন।
এলাকায় নিমজ্জিত রয়েছে অভ্যান্তরীণ গ্রামীণ সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ফের ওই এলাকার অধিকাংশ জনগোষ্ঠি বন্যা আতঙ্কে রয়েছে। যে সব এলাকায় এখনো অনেকাংশ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে সে সব ইউনিয়ন গুলি হচ্ছে বদরখালী, ডেমুশিয়া, কোনাখালী ও পূর্ব বড় ভেওলা। টানা কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফের নতুন করে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেও সচেতন মহলরা মন্তব্য করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন টানা ভারি বর্ষণের কারণে মাতামুহুরী নদীর পানি প্রবাহিত হয়ে ভাঙ্গন বেঁড়িবাধ দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ থেকে উত্তোরণ পেতে হলে দ্রুত সময়ে চকরিয়া পৌরশহর রক্ষাবাঁধ, বিএমচরের কুরিল্যার বেঁড়িবাধ ভাঙ্গনসমূহ সংস্কার করতে হবে।
এ ছাড়াও বন্যা প্লাবিত এলাকার জমাট পানি দ্রুত নেমে যেতে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নির্মিত স্লুইচ গেইট খোলা রাখার জন্য প্রশাসনের দাবি।
চিংড়ি চাষি আবদুর রহিম পার্বত্যনিউজকে বলেন, সম্প্রতি সময়ে চকরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার সাহারবিলের কোরালখালী এলাকায় তার মৎস্যঘের বন্যার পানিতে ডুবে প্লাবিত হয়ে তার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে যায়। এতে করে তার অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় চার ইউনিয়নকে বন্যার প্লাবিত থেকে রক্ষা করতে হলে চোয়ারফাঁড়ি স্লুইচ গেইটটি খোলা রাখতে হবে। তাহলে এ অঞ্চলের সাধারণ জনগোষ্ঠি ও মৎস্য চাষিরা পরিত্রাণ বলে জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বলেন, চোয়ারফাঁড়ি এলাকায় স্লুইচ গেইটের কয়েকটি পাতাটন নষ্ট হওয়ার কারণে স্লুইচের সম্পূর্ণ দরজা খোলা সম্ভব হচ্ছেনা। এ বিষয়টি দ্রুত সময়ে স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।