চকরিয়ায় গভীর সমুদ্রে ডুবলো লবণ ভর্তি কার্গো
চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের তিন ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি কার্গো বোট লবণ ভর্তি করে ঢাকায় যাওয়ার সময় গভীর সমুদ্রের নোয়াখালীর দক্ষিণ হাতিয়া পয়েন্টে ডুবে যায় গত সোমবার দুপুরে। এ সময় অপর একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের মাস্টারের সহায়তায় ভাসতে থাকা কার্গোবোটের ১০ জন মাঝি মাল্লাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কার্গো বোটটির কোন হদিস মিলেনি। যারা প্রাণে বেঁচেছেন তাদের বাড়ি উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
যারা উদ্ধার হলেন, বোটের মাঝি চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার সাহাব উদ্দিন (৫০), মো. কালুর পুত্র বোট চালক ফরিদুল আলম (৪৮), মৃত আবদুছ ছালামের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৪৫), মাঝি সাহাব উদ্দিনের পুত্র মো. আরাফাত (১৮), নুরুল ইসলাম (৪০), মোহাম্মদ আজাদ (৩৫), মো. লোকমান (৪০), মো. নুরুচ্ছালাম (৩৭)। তবে অন্য দু‘জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্র জানায়, কার্গো বোট ‘আল মদিনা’য় মহেশখালী থেকে প্রায় ৭ হাজার মণ লবণ ভর্তি করে ঢাকায় রওনা দেয় রোববার সকালে। বোটটি গত সোমবার দুপুরে দক্ষিণ হাতিয়া পয়েন্টে গেলে সমুদ্রের প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে।
এ সময় কার্গটির তলায় ফুটো হয়ে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ডুবে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে ভাসতে থাকে মাঝি মাল্লারা। এ সময় হাতিয়া থেকে চট্টগ্রামমূখি বার আউলিয়া নামের একটি যাত্রীবাহী জাহাজ সংশ্লিষ্টরা ক্রেন এবং লাইফ জ্যাকেট দিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে তারা বার আউলিয়া জাহাজেই চিকিৎসা নিচ্ছে।
বোট মালিকের একজন এয়াকুব আলী জানান, লবণ বোঝাই বোটটি পুরোপুরি ডুবে যাওয়ায় তা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির সম্মূখিন হয়েছেন তারা।