চকরিয়ায় এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের স্কুল মাঠে গরুর হাট-বাজার

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় এলাকার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র হচ্ছে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়। যে কেন্দ্রের অধীনে এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা চলছে ওই কেন্দ্রের মাঠ হল গরুর বাজার।

এই কেন্দ্রের অধীনে বিদ্যালয় সমূহের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার গরু-ছাগলের বিশাল হাট বসে। হাট বাজারের দিন নির্ধারিত পরীক্ষা থাকায় কেন্দ্রে অংশ নেয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় বাজারের কারণে পরীক্ষায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এমনই অভিযোগ করেছেন খোদ পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহল।

উপকূলীয় এলাকার শিক্ষার্থীদের চকরিয়া সদরে পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দ্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ার কারণে  ওইসব শিক্ষার্থীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরীক্ষার সুবিধার্থে চট্রগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ পাঁচটি বিদ্যালয়কে নিয়ে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়কে এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করেন। ওই কেন্দ্রের অধীনে যেসকল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বদরখালী ইউনিয়নের কলোনিজেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও আল আজাহার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের জিন্নাত আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও কোনাখালী ইউনিয়নের করিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।

এসব বিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় চার শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী অংশ নেয় ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে। এতে করে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা দিতে এসে চরমভাবে ভোগান্তি ও পরীক্ষা চালাকালীন শিক্ষার্থীর মনোযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। এনিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ফলাফল বিপর্যয়ের চরমভাবে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

পরীক্ষায় বিঘ্ন সৃষ্টির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপকূলীয় এলাকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ও অভিভাবকরা। তারা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

লিখিত অভিযোগকারী আজিজুর রহিম জানিয়েছেন, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে প্রয়োজনে তিনি উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হবেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলাম বলেন, আজিজুর রহিম নামে এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যাপারটিকে তদন্ত সাপেক্ষে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। যেহেতু পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকে, সেহেতু পরীক্ষায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন পরিলক্ষিত হলে তদন্ত সাপেক্ষে গরুর বাজারটি হস্তান্তর হতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন