চকরিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগে দুই ব্যক্তির নামে মামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নে দাফনের পাঁচমাস পর আদালতের নির্দেশে জিহাদুল ইসলাম ওরফে রায়হান চৌধুরী (২২) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের উপস্থিতিতে চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল লাশটি উত্তোলন করেন।

জিহাদুল ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকার মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে।

জানা যায়, গত বছর ৫ নভেম্বর রাতে নিজের মুদির দোকানের ভেতর আগুনে পুড়ে জিহাদুলের মৃত্যু হয়। পরে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠলে দাফনের পাঁচমাস পর বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর খনন করে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। এই কঙ্কালের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট প্রয়োজন হওয়ায় কঙ্কালগুলো কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হবে।

চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী বলেন, গত ৫ নভেম্বর রাতে আগুনে পুড়ে মারা যায় কাকারা ইউনিয়নের চরপাড়ার মাওলানা মো.ইউনুছের ছেলে জিহাদুল । জিহাদুলকে সামাজিক কবরস্থানে দাফনও করা হয়। এ ঘটনায় ১শ’ ৩ দিন পর জিয়াদুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে তার বাবা ইউনুছ বাদি হয়ে দুইজনকে আসামী করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চকরিয়া থানায় একটি মামলা (নং-৩০, ধারা ৪৩৬/৩০২/৫০৬(২) দ:বি) দায়ের করেন। থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করতে দায়িত্ব দেন এসআই সুকান্ত চৌধুরীকে।

এর প্রেক্ষিতে সুকান্ত চৌধুরী মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব একজন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

এই নিদের্শের ফলে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্ব থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরীসহ পুলিশদল দাফনের প্রায় পাঁচমাস পর জিহাদুলের কঙ্কাল উত্তোলন করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মামলার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে লাশটি উত্তোলনে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। সেই আলোকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুপুরে কবর থেকে নিহত জিহাদুলের লাশটি উত্তোলন পরবর্তী ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সেখানে ময়নাতদন্ত হবে। পরে সিভিল সার্জন মনে করলে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য কঙ্কালের প্রয়োজনীয় অংশ চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চকরিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগে দুই ব্যক্তির নামে মামলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন