Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৫৭ দোকান ভস্মিভুত: ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি


চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলীয় বদরখালী সিএনজি গ্যারেজ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ৫৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার (১২ মে) রাত ২টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পুরাতন ফেরীঘাট (জীপ ষ্টেশন) এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বিলম্ব করলে স্থানীয় জনতা তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়। এতে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর ৭ সদস্য আহত হয় এবং গাড়ী ভাংচুর করা হয় বলে দাবী করেছে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ষ্টেশন অফিসার।

এদিকে বদরখালীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর।

অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পুরাতন ফেরিঘাট ষ্টেশন এলাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী যার যার মতো করে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।আকস্মিকভাবে রাত ২টার দিকে হঠাৎ আগুন লেগে মূহুর্তের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুনের লেলিহান শিখায় ৫৭টি দোকান পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী সদস্যরা পৌঁছার পূর্বেই সব দোকান পুড়ে যায়। এতে দোকান ব্যবসায়ীদের অন্তত ১২ কোটি টাকার ক্ষতিসাধিত হয়। দোকানগুলোর মধ্যে পানের দোকান, চায়ের দোকান, মুদির দোকান, সিএনজি গ্যারেজ, রিক্সার গ্যারেজ, বিভিন্ন ফলের দোকানসহ ৫৭টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই সময় গ্যারেজ থাকা তিনটি সিএনজি ও ১২টি ভ্যানগাড়িও পুড়ে যায় বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বদরখালী ইউপি পরিষদের পক্ষথেকে এই অগ্নিকাণ্ডে যে সব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বিভিন্ন ক্ষতিপূরণ তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার সকালের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান খাইরুল বশরকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে উপজেলা প্রশাসনকে তাদের তালিকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাতে পেলে তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন