চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়
চকরিয়া প্রতিনিধি::
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ঈদের একটানা ছুটিতে দর্শনার্থীরা উপচেপড়া ভিড় করছে। ঈদের দিন মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবার দর্শনার্থীদের তেমন উপস্থিতি চোখে না পড়লেও বৃহস্পতিবার থেকে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে পার্কে।
এতে পার্ক কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, আজ এবং আগামীকালও একইভাবে দর্শনার্থী ও পর্যটকের ভিড় থাকবে পার্কে। সবমিলিয়ে লক্ষাধিক দর্শনার্থী ও বিভিন্ন জেলার পর্যটক পার্ক ভ্রমণ করবেন। এজন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি আগে থেকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো পার্ককে।
সরেজমিন পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, আগত দর্শনার্থী ও পর্যটকেরা পার্কে থাকা বাঘ, বানর, লাম চিতা, হনুমান, উল্লুক, কালো শিয়াল, জলহস্তি, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, প্যারা হরিণ, মিঠা পানির কুমির, মঁয়ূর, বনমোরগ, বন্য শুকর, তারকা কচ্ছপ, বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখিসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণির বেষ্টনীতে ঢু মারছে। আবার অনেক দর্শনার্থী সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মনের আনন্দে ঘুরে-বেড়ানোর পাশাপাশি গগণচুম্বি মাদার ট্রির (গর্জন) ছায়াতলের সুশীতল হাওয়ার পরশ নিচ্ছেন। বড়দের সঙ্গে যাওয়া কিশোর-কিশোরী ও শিশুরা হাতির পিঠে চড়ে খায়েশ মেটাচ্ছে।
পার্ক সূত্র জানায়, আগত দর্শনার্থী পার্কের প্রধান ফটকের বাইরে স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, নির্মিত লেক ও বাগানের দিকেই ঝোঁক ছিল বেশি।
পার্কের গেইট ইজারাদার মো. নাছির উদ্দিন জানান, এবার ঈদের দুইদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই দর্শনার্থী আসতে শুরু করে। একদিনেই অন্তত ২০ হাজার পর্যটক পার্কে ভিড় করে। তবে আগামী শনিবার পর্যন্ত একইভাবে দর্শনার্থী সমাগম হবে বলে তিনি আশা করছেন।
পার্কের কর্মকর্তা মো. মাজহার“ল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আগে থেকেই পুরো পার্ককে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে এখনো পর্যন্ত কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি।’