ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ছয় সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত

Lama Photo-1, 30 May 2017 copy

লামা প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর সম্পূর্ণ ও পাঁচ সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ-পালা ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। লামা, আলীকদম ও চকরিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লামা সহ আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা সদরের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে।

লামা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো. ওলিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ঝড়ো হাওয়ায় গাছ-পালা ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে ৩৩ কেবি ৮টি ও ১১ কেবি ৩০টি স্টিলের খাম্বা ভেঙ্গে গেছে। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় বিদ্যুতের ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি নিরুপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন লাইনের অবস্থা খুবই নাজুক।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদস্য মো. মোস্তফা জামাল জানিয়েছেন, ঝড়ো হাওয়ায় প্রাণ হানির ঘটনা না ঘটলেও বিভিন্ন ইউনিয়নের অসংখ্য বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। মৌসুমী ফসলসহ বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দরদরী, বৈল্যারচর, ছাগলখাইয়া, শিলেরতুয়া, ফাঁসিয়াখালী, ফাইতং ও মেরাখোলায় বাড়ি-ঘর সহ মসজিদ ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। রুপসী পাড়া ইউনিয়নের মেম্বার আবু তাহের জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে বৈদ্যভিটায় কেচিংথোয়াই(৪৫) নামক একজন গুরুতর আহত হয়েছে। লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, পৌর এলাকার বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-পালা উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু জানিয়েছেন, বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি।

Lama Photo-2, 30 May 2017 copy

নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়্যারম্যান তাসলিম ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কৃষি অফিস সহকারে সদরের অসংখ্য বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বাইশারী ইউপি চেয়্যারম্যান মো. আলম জানিয়েছেন, ঝড়ের তাণ্ডবে বাইশারী বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নায়েরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।

আলীকদম উপজেলা চেয়্যারম্যান মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন, ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে আলীকদমের বিস্তীর্ণ জনপদ ও উপজেলা সদরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন