গুলিবিদ্ধ চার ইউপিডিএফ কর্মী চমেক হাসপাতালে

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাওয়ার পথে মাইক্রোবাস লক্ষ করে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) চার কর্মীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর দিকে রাঙ্গামাটি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় তাদের। পরে জরুরি বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে তাদের ভর্তি করা হয়।

চারকর্মী হলেন- খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকার রাজ চাকমার ছেলে দিগন্ত চাকমা (২৩), খাগড়াছড়ির মুঙ্গাছড়ির লক্ষ্মীপুর চাকমার ছেলে অর্জুন চাকমা (২৪), দেওয়ানপাড়ার কদম চান চাকমার ছেলে মিহির চাকমা (২৫) ও বনমোহন চাকমার ছেলে অরসিং চাকমা (৩৮)।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে নানিয়ারচর মহালছড়ি সীমান্তে ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) তিন কর্মী, আর হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন নিহত হন। নিহতরা হলেন, তপন জ্যোতি চাকমা, সুজন চাকমা, টনক চাকমা, মাইক্রোবাসচালক সজীব ও কর্মী সেতুলাল চাকমা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও সাতজন।

মাত্র এক দিন আগে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শক্তিমান চাকমা তার সরকারি বাসভবন থেকে স্থানীয় বাজারে যান। বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা পরিষদের সামনে আসেন। মোটরসাইকেল থেকে নামতেই গুলি করা হয় তাকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান শক্তিমান চাকমা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শক্তিমান চাকমার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার সহকারী রূপম চাকমা (৩৫) আহত হন।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফের শীর্ষ নেতাদের দায়ী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন