গুইমারায় ৩ দিনব্যাপী  জাতীয় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

গুইমারা প্রতিনিধি:

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যে সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির গুইমারাতে ও  জাকজমক পূর্ণ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ৩ দিনব্যাপী ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার আজ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে।

মেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর  ৩০টি স্টল অংশ গ্রহণ করেছে।একেক করে প্রত্যেকটি স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৯টায়, গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে উপজেলা মিলনায়তনে এসে ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সিন্দুকছড়ি  জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, ফিতা কেটে  মেলার উদ্বোধন করেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার  সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি মেলার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।

গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবলুর সঞ্চালনায় সভায়  আরো উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা  সাব জোনের জোন অধিনায়ক ক্যাঃ মুফতি মাহমুদ জয়, উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরা,মাদ্রাসা সুপার জয়নাল আবদীনসহ অনেকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, যে জাতি চার বছরের মাথায় জাতির পিতাকে হারিয়েছে সেই দেশ আজ তারুন্যের কারণে সম্ভাবনাময় উন্নয়শীল দেশ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। উন্নয়নের স্রোতধারা নানান প্রকল্প, প্রযুক্তি নির্ভর হয়েছে। দেশের উন্নয়ন গত  ১০০ বছরের বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে। হাইডেল পার্কতৈরি ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরির মাধ্যমে। এই উন্নয়ন যাতে প্রজন্মান্তরে থাকে অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশাই তিনি ব্যক্ত করেন।

এ সময়ে প্রধান অতিথি রুবায়েত মাহমুদ হাসিব বলেন, বিশ্বনন্দিত নেতৃত্বের জন্য যোগ্য একজন নেতার জন্য দীর্ঘদিন প্রত্যাশা করেছি।বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা  আমাদের সে প্রত্যাশার প্রতিফলন।দেশের উন্নয়ন সরকারের পাশাপাশি  সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মেলার আয়োজনে  তারুন্যের ছাপ এসেছে। দেশে উন্নয়ন মূলক এত  কাজ হয়েছে সেটা মেলায় অংশ গ্রহণ না করলে জানা সম্ভব হত না। তিনি আরও বলেন দেশে  উন্নয়নের যে আবহাওয়া তৈরি হয়েছে তা প্রান্তিক মানুষের কাছে সকলে মিলে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে তখন দেখবেন দেশের কোন মানু্ষ দরিদ্র থাকবেনা বলে তিনি মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন