গুইমারায় ছাত্রদল নেতা রবিউল আওয়ালের লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি (আপডেট):
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারাই উপজেলার সিন্দুকছড়ির দুর্গম তৈকর্মা পাড়া এলাকায় ধান ক্ষেত থেকে গুইমারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল আওয়ালের লাশ উদ্বার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপরে পাহাড়ের নীচে ধান ক্ষেত থেকে থেকে দু’হাত পিছমোড়া বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্বার হয়। সে গুইমারা উপজেলার হাজিপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যোবাইরুল হক জানান, স্থানীয় লোকজন তৈকর্মা পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে একটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে খোজাখোজি করতে গিয়ে পাহাড়ের নীচে ধান ক্ষেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। লাশটি পিছমোড়া বাধা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্বারের পর ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আব্দুল মান্নান জানান, রবিউল ইসলাম সোমবার দুপুরে খাবার খেয়ে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ ছিল।
খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, এক বিবৃতি রবিউল আওয়ালকে গুইমারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি দাবী করে নিন্দা,প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।
বাঙালী ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ
এদিকে রবিউল ইসলাম নিহত হওয়ায় পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ফরাজী শাহাদাত হোসেন সাকিব এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রতিবাদে বলা হয়েছে, “নুরুল ইসলাম নয়নের রক্তের দাগ শুঁকাতে না শুঁকাতেই আবারো মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী বৌদ্ধ উপজাতি সন্ত্রাসী দ্বারা মুসলমান বাঙ্গালীর হত্যা করা হলো।
তিনি পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের গুইমারা উপজেলার একজন নিবেদিত বাঙ্গালী বান্ধব একনিষ্ঠ কর্মি। নিহত রবিউলের বাড়ী গুইমারার উত্তর হাজীপাড়া।পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কর্মি রবিউল হত্যার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক কঠিন আইনের আওতায় আনার জোড় দাবী জানাচ্ছি।
অন্যথায়,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসুচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে “।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের বিবৃতি
এদিকে রবিউল ইসলাম নিহত হওয়ায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির দাবী করেছেন। উক্ত দাবীতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, এর মধ্যেই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না হয়, আরো কঠিন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।