Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

গুইমারায় আগুনে পুড়ে বসতবাড়ি ছাই

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

গুইমারায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে বসতবাড়ি। এতে সর্বস্ব হারিয়ে নিস্ব বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।

সোমবার(২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুইমারা উপজেলার হাফছড়ির মধ্যম হাজীপাড়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জালিয়াপাড়া বাজার থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। যার ফলে পুড়ে ছাই হয়েছে বসতবাড়িসহ ঘরের যাবতীয় মালামাল ।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, সন্ধ্যায় হঠাৎ ঘরের পিছনের দিক থেকে আগুন দেখা যায়। মুহুর্তেই আগুন পুরোঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ে পার্শ্ববর্তীরা আল আমিনের স্ত্রী-সন্তান ও বৃদ্ধ পিতাকে ঘর থেকে বের করে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ঘরসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবারের লোকজন নিয়ে তারাঁ খোলা আকাশের নিচে নিচে বসবাস করছেন। তবে পার্শ্ববর্তী আবু বক্করের সাথে ভুমি বিরোধ আছে। নতুন একটি ঘর নির্মাণ নিয়েও জটিলতা দেখা যায়। পরে থানা পুলিশের আদেশে ঘরটি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রাখা হয় ।

অপর দিকে আবু বক্করের ছেলে হোসেন আলী জানান, ঘর পোড়ার বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেনা। ওই সময়ে সে তাঁর পিতা সহ হাফছড়ি মসজিদে নামাজরত ছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলীসহ মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর স্থানীয় নেতৃবৃন্ধের উপস্থিতিতে আগুনের বিষয়টি শুনেন। মুলত বিরোধকৃত জমিটি রেকর্ডিয় মূলে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি যা ৭০৮ দাগের ৩/৭৮এর  অংশ বিশেষ। পার্বত্য অঞ্চলের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ৮৬-৮৭ তে গুচ্ছ গ্রামের অধিবাসী হিসেবে সুলতান ভ’ঞা সহ অনেকে নিরাপত্তার জন্য পরিবার নিয়ে তাদের জায়গার উপর বসবাস করে। শান্তি চুক্তির পরবর্তী সময়ে সবাই যার যার স্থানে চলে গেলেও বকুল মিয়াসহ এরা জোর করে রয়েছে। এবিষয়ে আদালত ও গুইমারা থানায় মামলা হয়েছে যা বিচারাধীন। আদালতের নিষেধাক্কা সত্ত্বেও নতুন করে ঘর তৈরি করতে চেয়েছেন আলামিন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হোসেন আলী যাবতীয় দলিলাদি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন । পরবর্তীতে পুলিশ এসে আলামিন সহ তাদের ঘরের কাজ করতে নিষেধ করেন মর্মে হোসেন আলী জানান ।

এবিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার বড়–য়া জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, ঘটনাস্থলে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলার মাধ্যমে ত্রান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে  সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন