গুইমারার নির্বাচনকে ‘উন্নয়ন ও অগ্রগতির’ নির্বাচন হিসেবেই দেখছেন রেদাক-চাথোয়াই

25.02.2017_Guimara Election NEWS-Redak Pic

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

পার্বত্য খাগড়াছড়ির নবম উপজেলা হিসেবে গেল বছরের ২ জুন প্রশাসনিক পূনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১০৯তম সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুইমারাকে উপজেলা অনুমোদনের পর একই বছরের ৩০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয় গুইমারা উপজেলা পরিষদের। প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরুর তিন মাসের মাথায় আগামী ৬মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গুইমারা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন। গুইমারা উপজেলার ইতিহাসে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ভোটার সব মহলেই উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের মাঝে।

নবসৃষ্ট গুইমারা উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনে নতুন স্বপ্নের পথে অনেকেই ইতিহাস গড়ার জন্য ছুটে চলেছেন। কেউ উপজেলার প্রথম ভোটার হিসেবে আবার কেউ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে প্রথম লাইনে নিজের নাম লেখাতে চায়। স্বপ্নের পথে চলা এ নির্বাচনকে গুইমারার উন্নয়ন ও অগ্রগতির নির্বাচন হিসেবেই দেখছেন নির্বাচিত জনপ্রতিধিসহ সচেতন ভোটার মহল। তাদের মতে এ নির্বাচনের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে গুইমারা উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন। সাধারণ ভোটাররা ভুল করলে উন্নয়ণ বঞ্চিত হবে গুইমারা উপজেলা।

গুইমারা উপজেলার দুর্গম সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেদাক মারমা এ নির্বাচনকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির নির্বাচন হিসেবেই দেখছেন। তার মতে এ নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমেই গুইমারার ভবিষ্যত ভীত রচিত হবে। চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীকে সমান যোগ্য মন্তব্য করে গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপিডিএফের সমর্থন নিয়ে জয় পাওয়া সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেদাক মারমা মনে করেন, গুইমারার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থেই সরকারী দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ‘নৌকা’ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। সরকার বিরোধী প্রার্থী বিজয়ী হলে গুইমারার কাঙ্খিত উন্নয়ন হবেনা বলেও মনে করেন তরুন এ জনপ্রতিনিধি।

হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাথোয়াই চৌধুরীর মতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেমং মারমা জনগণের পরীক্ষিত বন্ধু। গুইমারা উপজেলা প্রতিষ্ঠায় তরুন মেমং মারমার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি আগামী নির্বাচনে তাকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে গুইমারা সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তার মতে গুইমারা উপজেলা নির্বাচনে ‘নৌকা’ পরাজিত হলে পক্ষান্তরে ‘গুইমারা’ হারবে।

স্থানীয় সাংবাদিক মো. আবদুল আলী নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা আর শান্তিপুর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, একটি বিশেষ মহল থেকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। সে চেষ্টা সফল হলে উন্নয়ন বঞ্চিত হবে গুইমারা। থেমে যাবে সুচিত উন্নয়নের গতিধারা।

গুইমারা উপজেলার প্রথম নির্বাচনে সব বাঁধা উপেক্ষা করে জনগণ তাদের পছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার মাধ্যমে গুইমারা উপজেলা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করবে এমনটাই মনে করছেন গুইমারার সচেতন ভোটার মহল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন