যৌতুকের লোভে গুইমারাতে স্ত্রী সন্তানকে খুন করলো যুবলীগ নেতা
খাগড়াছড়িরে গুইমারাতে স্ত্রী সন্তানকে খুন করেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোঃ সাবের আলী (২২)। সে উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মাহবুব আলী ছেলে।এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক সাবের আলী ও তার বাবা, মাসহ চার জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ হত্যাকান্ড ঘটে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মোছা. মাজেদা বেগম (২০) ও ৬ মাসের শিশু সন্তান রিদওয়ানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ঘটনার পর পরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘাতক সাবের আলীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা সাহাব উদ্দিন মেয়ের জামাই, শশুর-শাশুড়ি ও দেবরসহ চার জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩, তারিখ-২৩-০৩-১৬।
গুইমারা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘাতক সাবের আলীর পিতা মাহবুব আলী এলাকায় ভুমি দস্যু হিসাবে পরিচিত এবং অস্ত্রসহ আটক হয়ে জেলও খেটেছেন।
আটক সাবের আলী প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, আমার বাবা অপকর্মের প্রতিবাদ করার বিভিন্ন সময় আমাকে ইনজেকশন দিয়ে পাগল করার চেষ্টা করেছে। আমার স্ত্রীও তার এসব অপকর্মের কথা জানতো। কিন্তু সে এসব জেনেও আমার পক্ষ না নিয়ে বাবার পক্ষ নিতো। সে কারণে রাগ করে আমি আমার স্ত্রীর গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করেছি। স্ত্রীকে হত্যা করার পর ভাবলাম, স্ত্রী হত্যার দায়ে তো আমার ফাঁসি হবে, তাহলে আমার সন্তানকে কে দেখবে? তাই আমি আমার সন্তানের গলা টিপে তাকেও হত্যা করে ফেলেছি। সমাজ আমাকে এ কাজ করতে বাধ্য করেছে।
তবে মেয়ের বাবা সাহাব উদ্দিন ও মা আম্বিয়া বেগম জানান, গত কয়েক দিন ধরে জামাই মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে তাদের মেয়ের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে মেয়ে ও নাতি রেদোয়ানকে পরিবারের লোকজন গলা টিপে হত্যা করে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ ঘাতক স্বামী সাবের আলী, তার পিতা মাহবুব আলম, শাশুড়ি রেনুয়ারা বেগম ও তার ছোট ভাই শাহজাহানকে আটক করেছে।
Bangladesh