Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের শিশু বান্ধব দৃষ্টান্ত স্থাপন

img_5560-copy

বাইশারী প্রতিনিধি:

রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলাম শিশু বান্ধব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইউনিয়নে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। ইউনিয়নে অবস্থিত দুইটি পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সকল পিএসসি পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পরীক্ষার শুরুর দিন থেকে তিনি এক বেলার নাস্তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদক সরেজমিনে ইউনিয়নের ৯নং জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া যায়।

জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হামিদুর রহমান জানান, দুইটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ও ৯নং জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পিএসসিতে এক হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলাম সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন একবেলা নাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় শিশুরা খুশি মনে পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও ক্ষুধা থেকে নিবারণ পাচ্ছেন। যার ফলে অনেক অভিভাবকেরা চিন্তামুক্ত হয়েছেন বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এহসান উল্লাহ বলেন, চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগকে এলাকাবাসী স্বাগত জানান। পাশাপাশি স্থানীয়রা আরও বলেন, দূর্গম জনপদের অবহেলিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি শিশু বান্ধব চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত হল সুপার ঈদগড় হাসনাকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুদ্দিন জানান, সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে পিএসসি পরীক্ষা চলছে। তবে প্রথম দিন থেকে উক্ত কেন্দ্রে ৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। বর্তমানে ৪৪৪ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

৯ নং জুমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফয়জুল্লাহ জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে চার শতের অধিক সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষক রয়েছে মাত্র চারজন। শিক্ষক স্বল্পতা কারণে বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে পাঠদান দেওয়া খুবই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান, উক্ত বিদ্যালয়ে আটজন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু দীর্ঘকাল পার হলেও উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা লেগেই রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে বর্ষাকালে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ৩ মাস পর্যন্ত মাঠের মধ্যে পানি জমে থাকে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে তিনি জানান।

এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামিদুর রহমান শিক্ষক সংকট ও মাঠ সংস্কারের জন্য জেলার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ইতিপূর্বে একটি আবেদন করেছেন বলেও জানান। তাই তিনি দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন