গর্জনিয়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষীরা হতাশ!

photo baishari13

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় অধিকাংশ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানান। চাষীদের অভিযোগ, গত কিছুদিন পূর্বে এক পশলা বৃষ্টিতে তাদের সর্বনাশ নেমে এসেছে। তাছাড়া সঠিক বাজার দর না থাকায় এবং দর পতনের কারণে খরচ কাটিয়ে ওঠা মুসকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানালেন, তরমুজ চাষী আহমদ কবির ।

তিনি বলেন, বিগত চার বছর যাবৎ তরমুজ চাষ করে আসছেন তবে এই বছরের মতো কপাল আর কোন বছর হয় নাই। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস শুধু লোকসান ই গুনতে হচ্ছে। সঠিক মূল্য না পাওয়ায় তার মতো অনেক চাষীরা ক্ষেত খামার ছেড়ে চলে আসছেন।

গতকাল এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গর্জনিয়া ইউনিয়নের থীমছড়ি, থোয়াংগ্যার কাটা , বড়বিল, বাইশারী ইউনিয়নের নারিচবুনিয়া, পূর্ব বাইশারী, লম্বাবিল, চাইল্লাতলী সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তরমুজ চাষী আবু তাহের, আলী আকবর, কবির আহমদ সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বর্তমানেও ক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরমুজ মওজুদ রয়েছে। কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানান।

তরমুজ চাষী আবু তাহের দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলেন, বিভিন এনজিও থেকে লোন নিয়ে দুই একর ভূমিতে তরমুজ চাষ করেছিলেন লাভের আশায় । লাভতো দূরের কথা মূলধনও পাওয়া মুসকিল হয়ে পড়েছে।তরমুজ ক্ষেতে নিয়ম অনুযায়ী সার, কীটনাশক , বিষ, ভিটামিনসহ নানা জাতের ঔষুধ প্রয়োগ করেছি, ফলনও যথেষ্ট পরিমাণ ভাল হয়েছে।হাঠাৎ বৃষ্টিতে তাদের ভাগ্যের লাভের মুখ দেখা হলো না ।তার পরেও তিনি আশা ছাড়েন নি। কারণ ক্ষেতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ তরমুজ মওজুদ রয়েছে।

একাধিক কৃষকদের অভিযোগ, তারা কিছুটা সরকারী সাহায়তা পেলে আরো ভালভাবে ফলন ফলাতে পারত ।সরকারী কৃষি কর্মকর্তা যদি মাঠ পর্যায়ে এসে তদারকি করে তাহলে তরমুজ চাষ করে অনেক পরিবার স্বাবলম্বী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন