গর্জনিয়ায় অসহায় তিন বিধবার বসতবাড়ি কৌশলে দখলে নিতে মরিয়া এক প্রভাবশালী
বাইশারী প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে পশ্চিম জুমছড়ি গ্রামের গরীব অসহায় তিন বোনের বসতবাড়ি কৌশলে দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক প্রভাবশালি।
জানা যায় খতিজা বেগম(৫০) জুহুরা বেগম(৫২) ও রশিদা বেগম(৪৬) তিন বোন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তারা তিন বোনই স্বামী হারা বিধবা। এমনকি নাই কোনো পুত্র সন্তান। তিন বোনই পরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এরই মাঝে তাদের বাপ দাদার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এক একর ৩ শতক জমি দীর্ঘ ৩৫ বছরের বসতবাড়ি দখলে নিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি গ্রামের সাবেক মেম্বার মনির উদ্দীনের ছেলে বৃত্তশালী সবত আলীর।
স্থানীয় রমজান আলী জানান, সবত আলীর স্ত্রীর আপন ভাই কবির আহাম্মদ রামু ভূমি অফিসে চাকরি করার সুবাদে কৌশলে অসহায় এ তিন মহিলার বসতভিটা সবত আলী ও তার স্ত্রী ফিরুজা বেগমের নামে গোপনে বন্দোবস্তি করান। তখন থেকেই বিষয়টি গোপন রাখেন তারা।
সম্প্রতি উক্ত জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে কৌশলী এ সবত আলী। এর ধরাবাহিকতায় সবত আলী জমি উদ্ধারে রামু থানায় একটি অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারেন বিধবা তিন মহিলা খতিজা বেগম ও অপর দুই বোন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকায় চলছে টান টান উত্তেজনা। যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খতিজা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাদের এই বসতভিটা ছাড়া আর কোনো জায়গা জমি নেই। ব্রিটিশ আমলে দাদা ও পাকিস্তান আমলে আমার বাবা এই বসতভিটাতে ছিল এবং বাবার নামে আর এস ও এম আরা আছে। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এই বসতভিটাতে আমরা শান্তিপুর্ণ ভাবে দখলে আছি। সরকার কোন সময় এই জমি খাস করেছে আমরা জানি না।
জুহুরা বেগম জানান, ভূমিহীন অসহায় দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এ জায়গাতে আমরা তিন বোন বসবাস করে আসছি এবং বর্তমানেও আছি। একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ফিরুজা বেগম ও বৃত্তশালী সবত আলী নিজেদের ভূমিহীন পরিচয়ে এই জমি গোপনে বন্দোবস্তি করান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সবত আলী জানান, সরকারের কাছ থেকে গত ২০০১ সালে খাস জমি বন্দোবস্তি করেছি এবং আমি ও আমার স্ত্রীর নামে বি এস খতিয়ান হয়েছে, যেকোনো কৌশলে দখল করব।
এ বিষয়ে অসহায় বিধবা জুহুরা, খতিজা ও রশিদা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।