গর্জনিয়ায় অপহরন ১

 

বাইশারী প্রতিনিধি:

রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড থোয়াইংগা কাটা গ্রামের বার্মাইয়া নবী হোসেনের ঘোনা নামক এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২২)নামের এক ব্যক্তিকে অপহরন করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। অপহৃত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা নবী হোসেনের পুত্র জামাল হোসেন (২২)।

প্রত্যক্ষদর্শী গৃহকর্তা শফি আলম জানান, সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুখোশ পরিহিত অবস্থায় ঘুম থেকে ডেকে তুলে পানি খাওয়ার কথা বলে বাড়ির ভিতর ঢুকে নিজেদের শিকারী পরিচয় দিয়ে তারা দূজনকে হাত ও চোখ বেধে ফেলে ঘর থেকে বের করে শফি আলমকে কিছু দুর নেওয়ার পর ছেড়ে দেয় এবং জামাল হোসেনকে তারা নিয়ে যায়। ঐসময় সন্ত্রাসীরা বলে ঘটনা কাউকে জানালে বিপদ হবে।

তিনি আরও জানান, তার বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা দূইটি মোবাইল ফোন, একটি টর্চলাইট নগদ পাঁচ হাজার টাকাসহ চাউল, পিয়াজ, মরিচ শুটকি মাছ, কাপড় পর্যন্ত নিয়ে যায়। অপহৃত জামাল হোসেন গৃহকর্তা শফি আলমের মেয়ে জামাই। সে সোমবার রাতে শশুর বাড়িতে এসে রাত যাপন করছিল। ঐরাতেই তাকে অপহরণ করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, জামাল হোসেন শশুড় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এই ঘটনার স্বীকার হয়। নতুন বউকে এখনও অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নিয়ে আসেনি। তবে কাবিন ও আকদ্ হয়েছে। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করার জন্য সে শশুড় বাড়িতে গিয়েছিল বলে মেম্বার নুরুল ইসলাম জানান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ,আলমগিরসহ সংগীয় ফোর্স। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ৩নং ওয়ার্ড় ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি জানান, একটি সন্ত্রাসী দল দীর্ঘদিন যাবৎ বাইশারী, গর্জনিয়াসহ অাশপাশের এলাকায় অপহরণ মুক্তিপণ বানিজ্য করে অাসছে। তারাই এঘটনা ঘটিয়েছে বলে তার ধারনা। তবে অপহরণের পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোন খবরা খবর এবং মুক্তিপনের জন্য মোবাইল করেনি সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার বলি নিহত হলেও বাহিনী প্রধান আনোয়ার প্রকাশ আনাইয়্যা রয়েছে বহাল তবিয়তে। গেল কিছুদিন যাবৎ আনাইয়া বাহিনীর সদস্যরা সাত ও আট নাম্নার রাবার বাগান এলাকায় এবং গহীন পাহাড়ে অবস্থান সহ ঘুরা ঘুরি করতে দেখা যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন