খুনিয়াপালংয়ে ধান্দাবাজ চক্রের হাতে নিরহ জনগণ জিম্মি

 

উখিয়া প্রতিনিধি:

খুনিয়াপালংয়ে ধান্দাবাজ ও প্রতারকচক্রের নানা ধরনের হয়রানী ও সাজানো অভিযোগের শিকারে জিম্মি হয়ে পড়েছে নিরহ জনসাধারণ। ওই ধান্দাবাজ চক্রের কবলের হাত থেকে রেহায় পেতে স্থানীয় গ্রামবাসী পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গ্রামের রাজ মোহন বড়ুয়ার ছেলে হিমাংশু বড়ুয়া ধর্মান্তরিত হয়ে পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ খুনিয়াপালং গ্রামে বসবাস শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দারা  নও মুসলিম হামিদুল হককে বিভিন্ন প্রকার সাহার্য্য সহযোগিতা ও সহমর্মিতা দেখানোর সুযোগ নিয়ে তিনি দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠে।

এমনকি তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে থানা সহ প্রশাসনের দপ্তরে মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগ দায়ের করে নিরহ মানুষকে হয়রানী করে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বছর দুয়েক পূর্বে দক্ষিন খুনিয়াপালংয়ে একটি জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নও মুসলিম হামিদুল হককে পরিচালনা কমিটি সভাপতি করা হলেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১ মে’২০১৭ তারিখ তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে থেকে হাবিব উল্লাহ, আব্দুল করিম সওদাগর, মাওলানা শফিউল আলম ও মাওলানা আব্দুল্লাহ্র নেতৃত্বে জামে মসজিদটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।

এলাকার বয়োবৃদ্ধ হাজী সোলতান আহমদ (৭০), মাহমুদুল হক (৫৬) অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের কমিটিকে কেন্দ্রে করে নও মুসলিম হামিদুল হক বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এলাকার সম্মানিত লোকজন কে হয়রানী করে আসছে। শুধু তাই নয় হাবিবুল্লাহ ও মাওলানা শফিউল আলম সহ অনেকের বিরুদ্ধে রামু থানায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, দক্ষিণ মরিচ্যাপালংয়ে তার চাচা কে খুন করার জনশ্রুতি রয়েছে। ওই মামলা থেকে বাঁচানোর ফন্দি হিসাবে ধর্মান্তরিত হয়ে হিমাংশু বড়ুয়ার স্থলে হামিদুল হক নাম রাখা হয়। আল-ফুয়াদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা শফিউল আলম ও আব্দুল করিম সওদাগর অভিযোগ করে বলেন, নও মুসলিম হামিদুল হক একজন প্রতারক ও ধান্দাবাজ। মূলত বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে জঙ্গি আখ্যায়িত করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে হয়রানী করা তার স্বভাব। বিভিন্ন অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তার বিরুদ্ধে দেওয়া সালিশ খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদের নিকট বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

সচেতন এলাকাবাসী ধান্দাবাজের কবল হতে রক্ষা ও হয়রানী থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপারের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন